ভারতে ফাইজারের টিকা আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ
ফাইজার বা তার অংশীদার সংস্থা বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে এখনও কোনও যোগাযোগই করেনি বলে দাবি
নয়াদিল্লি: করোনার সম্ভাব্য প্রতিষেধককে ছাড়পত্র দিয়েছে ব্রিটেন। সব কিছু ঠিকঠাক চললে আগামী সপ্তাহে ব্রিটেনে টিকাকরণ শুরু হয়ে যাবে। কিন্তু ফাইজারের টিকার ভারতে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
ভারতে ফাইজার ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র পেতে হলে এদেশে ওই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ পর্বে সাফল্য জরুরি। সূত্রের খবর, ফাইজার বা তার অংশীদার সংস্থা বিষয়টি নিয়ে ভারত সরকারের সঙ্গে এখনও কোনও যোগাযোগই করেনি।
অর্থাৎ, ফাইজার যদি এখন কোনও ভারতীয় সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়, তা হলেও এদেশে ফাইজারের টিকা পেতে অনেক দেরি আছে।
সূত্রের খবর, কোনও ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার যদি ভারতে তাদের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ না করে, তা সত্ত্বেও সেই টিকাকে এদেশে ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই)।
এখনও পর্যন্ত ডিসিজিআই যে ক'টি টিকাকে ছাড়পত্র দিয়েছে, তারা প্রত্যেকে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে। গত অগাস্টেই ফাইজারের সঙ্গে এক প্রস্থ কথা হয়েছিল ভারত সরকারের। কিন্তু তারপরে তেমন কোনও অগ্রগতি ঘটেনি বলেই সূত্রের খবর।
তবে করোনা প্রতিষেধকের ব্যাপার অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়-সহ পাঁচটি সংস্থার টিকার দিকেই বেশি নজর দিচ্ছিল ভারত।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা-অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথ উদ্যোগে করোনা প্রতিষেধক ভারতে তৈরি করছে, সেরাম ইনস্টিটিউট। গত সপ্তাহেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছিল, তাদের তৈরি কোভিশিল্ড-এর দুটি ডোজের মধ্যে প্রথমটি ৯০ শতাংশ কার্যকর। দুটি ডোজের মোট কার্যকারিতা ৭০ শতাংশ।
করোনা প্রতিষেধকের ব্যাপারে কোভিশিল্ডের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ভারত। কারণ, এটি অনেক সস্তা এবং সহজলভ্য হবে। সেরাম ইনস্টিটিউট আগামী জানুয়ারির মধ্যে ১০ কোটি ডোজ সরবরাহ করবে এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও ১০ কোটি ডোজ সরবরাহ করা হবে।
গত রবিবারই সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে তিনি কেন্দ্রের কাছে টিকার জন্য ছাড়পত্র চাইবেন।
উন্নতশীল দেশগুলি অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ভারত বায়োটেকের প্রতিষেধকের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। কারণ, এদের তৈরি টিকা অনেক সস্তা হবে। এছাড়া এই প্রতিষেধক সংরক্ষণও অনেক সুবিধাজনক। যার ফলে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় এই প্রতিষেধক পৌঁছে দিতে তেমন অসুবিধা হবে না।
ইতিমধ্যেই ফাইজার দাবি করেছে, তাদের তৈরি প্রতিষেধক ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর। মডার্না অবশ্য দাবি করেছে, তাদের তৈরি প্রতিষেধক ৯৪.১ শতাংশ কার্যকর।