দুই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একই সময়ে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত ভারতের: সেনাপ্রধান
নয়াদিল্লি: দেশের উচিত দুই প্রান্তে যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকা। চিনের নাম না করে এমনটাই জানালেন সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত।
ডোকালাম নিয়ে ৭৩-দিন ধরে চলতে থাকা সংঘাত প্রসঙ্গে উল্লেখ করে সেনাপ্রধান আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, উত্তর সীমান্তে এই পরিস্থিতি ক্রমে ভবিষ্যতে আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
তিনি বলেন, এমন সম্ভাবনা রয়েছে যেখানে এই ছোট সংঘাত ক্রমশ জমে বড় লড়াইয়ের আকার ধারণ করবে। এই লড়াই স্থান ও কাল বিশেষের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতেও পারে। অথবা, গোটা সীমান্ত-জুড়ে যুদ্ধ বাঁধতেও পারে। তাঁর সতর্কবাণী, পাকিস্তান সেই সময় সুযোগ তুলতে পারে।
তিনি বলেন, এমন সম্ভাবনার জন্য আমাদের তৈরি থাকা উচিত। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে যুদ্ধ শুরুর সম্ভাবনা হওয়া ঘোর বাস্তব। তাঁর মতে, বিদেশি শক্তির বিরুদ্ধে এই দ্বি-মুখী যুদ্ধে জিততে হলে বাহিনীর তিন বিভাগকেই চমর শক্তিশালী হতে হবে।
প্রসঙ্গত, গতকালই ভারত-চিন সম্পর্কে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়ে সহমতে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তার ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য যথেষ্ট অর্থবহ বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এদিন রাওয়াত স্মরণ করিয়ে দেন, চিনকে হাল্কা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। তার দাবি, উত্তরের প্রতিপক্ষ ইতিমধ্যেই নিজেদের পেশি আস্ফালন শুরু করে দিয়েছে। এক এক করে এলাকা দখল করছে। আমাদের সহ্যক্ষমতা পরীক্ষা করছে। ফলে আমাদের যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। কারণ, যা পরিস্থিতি তা অচিরেই যুদ্ধে পরিণত হতে পারে।
পাকিস্তান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাওয়াত বলেন, ওদের সঙ্গে সমঝোতা করার কোনও প্রশ্নই নেই। কারণ, ওদের সামরিক, রাজনীতি এবং সেদেশের বাসিন্দারা--- সকলকেই এটা বোঝানো হয়েছে যে ভারত হল প্রতিপক্ষ, যে তাদের ভেঙে টুকরো টুকরো করছে।