এক্সপ্লোর
Advertisement
করোনা ভ্যাকসিন: সবার কাছে পৌঁছতে অনেকটা সময় লাগবে,জানাল সিরাম ইনস্টিটিউট
সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক কোটি চল্লিশ লক্ষ। এই পরিস্থিতিতে সমগ্র বিশ্বের বিজ্ঞানী, চিকিত্সক, গবেষক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ওষুধ কোম্পানিগুলিকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির কাজে দিনরাত এক করে কাজ করছেন।
নয়াদিল্লি: সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক কোটি চল্লিশ লক্ষ। এই পরিস্থিতিতে সমগ্র বিশ্বের বিজ্ঞানী, চিকিত্সক, গবেষক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও ওষুধ কোম্পানিগুলিকে কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন তৈরির কাজে দিনরাত এক করে কাজ করছেন। যদিও সাফল্য এখনও অধরা। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার মতো কয়েকটি সংস্থা সাফল্যের পথে অনেকটাই এগিয়েছে। সম্ভাব্য কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সিএইচএডিওএক্স ১ এনকোভ-১৯ তৈরির লক্ষ্যে অ্যাস্ট্রাজেনিকার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সিরাম ইন্সস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। সম্প্রতি সিরাম ইন্সস্টিটিউট তাদের দেশে নিউমোকোক্যাল ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে ডিজিসিআই-এর ছাড়পত্র পেয়েছে।
বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় খুবই শীঘ্রই কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে সাফল্যের মুখ দেখতে পারে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, মানব শরীরে প্রাথমিক পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর দল দেখতে পেয়েছে যে, তাদের ভ্যাকসিন করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে জোড়া সুরক্ষা দিতে পারে। মানব শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গিয়েছে যে, সম্ভাব্য ভ্যাকসিন সফলভাবে গ্রাহকের শরীরে অ্যান্টিবডি ও কিলার টি-সেল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে বলে তাঁরা দাবি করেছেন। গবেষকরা বলেছেন, ফলাফল আশাব্যঞ্জক। কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, কয়েকমাসের মধ্যে অ্যান্টিবডির শক্তিক্ষয় হয়ে যেতে পারে। কিন্তু টি-সেল থেকে যেতে পারে বছরের পর বছর।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন মানব দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের তৃতীয় দফায় পড়েছে। প্রথম দফার পরীক্ষার ফলাফলে আশাপ্রদ ফল দেখা গিয়েছে। আগামী ২০ জুলাই অক্সফোর্ড পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করবে।
তবে পরীক্ষা সফল হলেও ভ্যাকসিন পৌঁছতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন সিরাম ইন্সস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, এত বেশি সংখ্যায় প্রয়োগ করতে হবে যে, সবার কাছে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে অনেক সময় লাগবে।
তিনি বলেছেন, প্রথম যে ভ্যাকসিন লাইসেন্স পাবে, সেটাই যে সেরা হবে, এমন কোনও কথা নেই।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার সম্ভাব্য ভ্যাকসিন সম্পর্কে পুনাওয়ালা বলেছেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরি করতে বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করা হচ্ছে। এখন অপেক্ষা করতে হবে যে, কোনটি বিশ্বকে সবচেয়ে ভালো ভ্যাকসিন দিতে পারে।
পুনাওয়ালা বলেছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার ভ্যাকসিন প্রথমসারির সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলির অন্যতম। এই ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে সিরাম বেশ কয়েক মিলিয়ন ডলার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
পুনাওয়ালা জানিয়েছেন, তিনি দুই-তিন দিনের মধ্যে কোনও ঘোষণার আশা করছেন। তিনি বলেছেন, এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এরপরই প্রথম পর্যায় সম্পর্কে মন্তব্য করা যাবে।
সিরাম কতগুলি ডোজ উত্পাদন করেছে, তা জানাননি পুনাওয়ালা। তিনি বলেছেন, উত্পাদন লাইসেন্স পাওয়ার পর আগামী তিন মাসে কয়েক লক্ষ ডোজ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে।
কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায় কিনা, তা পর্যালোচনা করে দেখতে সিরামের উত্পাদিত অ্যান্টি-টিবি শট ভিপিএম১০০২ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। পুনাওয়াসা জানিয়েছেন, ১০০০-র বেশি রোগীকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং তা কোভিডের ব্যাপকতা তাত্পর্যপূর্ণভাবে কমাতে পারে কিনা, তা দুই মাসের মধ্যে জানা যাবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
ক্রিকেট
Advertisement