সিএএ বিরোধী পদযাত্রার অনুমতি দিয়েও বাতিল করল বিহার পুলিশ, আটক কানহাইয়া
কানহাইয়া কুমারই নন, আরও একাধিক আন্দোলনকারীকে এদিন আটক করা হয়।
চম্পারণ: পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ চম্পারণে গাঁধী ও ‘মাতা কস্তুরবা’র মূর্তিতে মাল্যদান সেরে বেতিয়া যাওয়ার কথা ছিল ছাত্রযুব নেতা কানহাইয়া কুমারের। অনুমতিও নেওয়া ছিল। কাল রাতে সেই অনুমতি বাতিল করে দেয় বিহার পুলিশ। আর আজ সকালে যখন মহাত্মা গাঁধীর ৭০তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করতে চম্পারণ পৌঁছন কানহাইয়া, তাঁকে আটক করা হয়। শুধু কানহাইয়া কুমারই নন, আরও একাধিক আন্দোলনকারীকে এদিন আটক করা হয়।
প্রশাসনের এই আচরণের কড়া নিন্দা করে স্বভাবোচিত ভঙ্গিতে বামপন্থী ছাত্রযুব নেতা বলেন, “আমরা নাগরিক কিনা, তার কাগজ দেখাতে বলছেন। অথচ আমাদের যে আটক করা হবে, তার কাগজ দেখাতে পারছে না।” এখানেই শেষ নয়, এদিন গাঁধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের প্রসঙ্গ তুলে কেন্দ্রের শাসক দলকেও একহাত নেন তিনি। কানহাইয়া বলেন, “গাঁধীকে ৬ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়। বিভাজনের কারণে গাঁধীকে হত্যা করা হয়নি। তাঁকে হত্যা করা হয়েছে কারণ, তিনি সর্ব ধর্মের কথা বলতেন। সবার সৎ বুদ্ধির কথা বলতেন। তিনি বলতেন, ‘ঈশ্বর-আল্লাহ-তেরো নাম/সব কো সনমতি দে ভগবান’। হিন্দু, মুসলমানের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
आज बापू-धाम (चम्पारण) में गांधीजी को नमन करके ग़रीब-विरोधी CAA-NRC-NPR के विरोध में एक महीने की जन-गण-मन यात्रा की शुरूआत होनी थी। समाज के सभी तबक़ों के लोग इस यात्रा में शामिल होने के लिए मौजूद हैं, लेकिन प्रशासन ने कुछ देर पहले हम सबको हिरासत में ले लिया है। pic.twitter.com/GI2ThEGSyQ
— Kanhaiya Kumar (@kanhaiyakumar) January 30, 2020
তাঁর আটক হওয়া নিয়ে ট্যুইটে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র নেতা লেখেন, “গাঁধীর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আজ থেকে এক মাসের জন গণ মন যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধী এই যাত্রায় সামিল হতে সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ সমবেত হয়েছে। তবে আমাদের সবাইকে কিছুক্ষণ আগে প্রশাসন আটক করে নিয়ে যায়।”