এক্সপ্লোর
Advertisement
জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের ভোটে জয়ী বামেরা
নয়াদিল্লি: জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ভোটে জোট বেঁধে লড়াই করে সঙ্ঘ পরিবারের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-কে কার্যত মুছে দিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখল বাম সংগঠনগুলি।
এ বারে প্রচারের আলোর বৃত্তে ছিল জেএনইউ-র ভোট। কারণ এ বছরের গোড়ায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ‘দেশ-বিরোধী স্লোগান’ দেওয়ার অভিযোগ তুলে ব্যাপক হাঙ্গামা শুরু করেছিল এবিভিপি ও সঙ্ঘের বিভিন্ন শাখা। কানহাইয়াদের গ্রেফতার করা হয়। ব্যাপক ছাত্র বিক্ষোভে তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। এ বারে কানহাইয়া কুমার ভোট-ময়দানে ছিলেন না। এবিভিপিকে ঠেকাতে জোট বেঁধেছিল এত কাল মুখোমুখি লড়াই করে আসা বাম সংগঠন এসএফআই ও আইসা। আগের বছর যে কটি আসন জিতেছিল, এ বার সেগুলিও হারিয়েছে এবিভিপি। বাম জোটই ধরে রাখছে জেএনইউ-র ছাত্র সংসদ। সভাপতি সহ-সভাপতি, যুগ্ম সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক— সব ক’টি পদেই বাম জোটের প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে জিতেছেন। ছাত্র প্রতিনিধিদের ২৪টির মধ্যে ২২টি আসন বামেদের দখলে। শুধু সংস্কৃত বিভাগে একটি আসন পেয়েছে এবিভিপি।
বাম জোটের প্রার্থী মোহিত পান্ডে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন ১,৮০০ ভোট পেয়ে। এই জোটেরই অমল পিপি সহ-সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন। যুগ্ম সম্পাদক ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন যথাক্রমে তাবরেজ হাসান এবং শতরূপা চক্রবর্তী।
এবারের ছাত্র সংসদের ভোটে গতবারের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি ভোট পড়ে। কেন্দ্রীয় প্যানেলের জন্য প্রার্থী ছিলেন ১৮ জন। কাউন্সিলর পদের লড়াইতে ছিলেন ৭৯ জন।
জেএনইউ-তে জয়ের জন্য পড়ুয়াদের অভিনন্দন জানিয়েছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি।
ভোটের আগে এবিভিপিকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চাননি কানহাইয়া। তিনি বলেছিলেন, এ বারের ভোটে, বিশেষ করে সভাপতি পদের জন্য বাপসা-র সঙ্গে বামেদের কড়া লড়াই হবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
জেলার
জেলার
Advertisement