ভুয়ো খবরের প্রচার রুখতে ভাবনাচিন্তা করা হছে: হোয়াটসঅ্যাপ
নয়াদিল্লি: নিজেদের প্ল্যাটফর্মে ভুয়ো খবরের বাড়বাড়ন্ত কীভাবে রোখা সম্ভব, তা নিয়ে জোর চিন্তাভাবনা চালাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।
সোমবার এই জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইটের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার অ্যালান কাও গোটা বিষয়টিকে ‘জটিল’ বলে উল্লেখ করেন। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, এই প্ল্যাটফর্মে যে কোনও বার্তা ‘এনক্রিপ্টেড’ হয়ে একজনের থেকে আরেকজনের কাছে পৌঁছয়। ফলে, প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া আর কোনও তৃতীয় ব্যক্তি ওই বার্তা পড়তে পারেন না।
কাও বলেন, এটা সত্যি যে আমরা নিজেদের প্ল্যাটফর্মে ভুয়ো খবর দেখতে চাই না। তবে, একইসঙ্গে, এই সমস্যাটি ভীষণই জটিল। কারণ, প্রথমে এটা নিশ্চিত হতে হবে, কোন খবর সঠিক আর কোনটা ভুয়ো। আর ‘এনক্রিপশনের’ জন্য আমরা কোনও বার্তা পড়তে পারি না।
এক্ষেত্রে, নিজেদের প্ল্যাটফর্মে ভুয়ো খবরের মাত্রা কমাতে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করার ভাবনাচিন্তা করছে ফেসবুকের মালিকানাধীন সংস্থাটি। কাও জানান, তাঁরা চাইছেন হোয়াটসঅ্যাপে কিছুটা কারিগরি বা প্রযুক্তিগত বদল এনে প্ল্যাটফর্মে ভুয়ো খবর ছড়ানোর ওপর রাশ টানতে।
পাশাপাশি, ব্যবহারকারীদের সচেতন করার বিষয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। সেখানে সকলকে আহ্বান করা হবে, যে কোনও খবরের সত্যতা যাচাই না করে এই সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট বা শেয়ার না করতে।
সম্প্রতি, নতুন ২ হাজার টাকার নোটে জিপিএস চিপ লাগানো রয়েছে, বা মুজফ্ফরনগর হিংসার কিছু ভিডিও এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই সেই ভুয়ো খবরকে সত্যি বলে ভেবে নেন। এই নিয়ে বিস্তর জলঘোলা ও বিতর্ক হয়।
বার্তা ও কথোপকথনকে হ্যাকারদের কবল থেকে নিরাপদ করতে গত এপ্রিল মাসে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন চালু করে হোয়াটসঅ্যাপ। যদিও, সমালোচকদের দাবি, এর পর থেকেই ভুয়ো, আপত্তিকর ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত খবরের বাড়বাড়ন্ত অনেক অংশেই বৃদ্ধি পেয়েছে এই সোশ্যাল মিডিয়ায়।
তবে, কাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্যই এনক্রিপশন চালু করা হয়েছে। আর তার সঙ্গে কোনও আপস করা হবে না। তিনি বলেন, সংস্থার কাছে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। তাঁর পাল্টা দাবি, এনক্রিপশন পদ্ধতিতে কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ করা হলে, (হ্যাকারদের কাছে) তা সহজেই ধরা পড়বে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে ভারতই হল হোয়াটসঅ্যাপের সর্ববৃহৎ বাজার। এদেশে প্রায় ২০ কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। গোটা বিশ্বে এই সংখ্যা প্রায় ১৩০ কোটি।