সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস! রাজস্থানকে টেক্কা দিল মহারাষ্ট্রের ভিরা

নয়াদিল্লি: গ্রীষ্ম আসতে এখনও দেরি। এরই মধ্যে তাপদাহ শুরু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। গোটা দেশে একই ছবি। এখনও পর্যন্ত দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে মহারাষ্ট্রের ভিরায়। বুধবার ওই জায়গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৬.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৬ মার্চ ছিল ওই জায়গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.৫ ডিগ্রি। তিন দিনেই বেড়েছে ৩ ডিগ্রি। অন্যদিকে, মরুশহর রাজস্থানেও ঊর্ধ্বমুখী পারদ। তেরিলা এলাকায় তাপমাত্রা এখনই ৪৫ ডিগ্রি ছুঁয়ে ফেলেছে। তাপমাত্রার এই হঠাৎ পরিবর্তনে সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে শিশুদের ওপর। ঘরে ঘরে ঢুকে পড়েছে অসুখ। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় দেখা দিয়েছে পানীয় জলের সঙ্কট। একনই সবাই চাইছেন বৃষ্টি নামুক। কিন্তু এবার কীরকম বর্ষা হবে, তা নিয়ে এখনও পূর্বাভাষ দেয়নি দিল্লির মৌসম ভবন। তবে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এবার সারা দেশের তাপমাত্রা আগের বারের তুলনায় বাড়বে। বুধবার রাজধানী দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। মে মাস পর্যন্ত এই তাপমাত্রা লাগাতার বাড়বে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রাজস্থান, গুজরাত ও পশ্চিম মধ্যপ্রদেশে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা। মে মাসের মাঝামাঝি দেশের বেশিরভাগ অংশেই বইতে পারে তাপপ্রবাহ। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যকে তাপপ্রবাহ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, তাপমাত্রা বাড়ছে প্রশান্ত মহাসাগরেরও। যা এল নিনো সক্রিয় হওয়ারই ইঙ্গিত। স্প্যানিশ শব্দ ‘এল নিনো’ মানে ‘দুষ্টু বালক’। আসলে এক উষ্ণ মহাসাগরীয় অবস্থা। যার অবস্থান প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম প্রান্তে। দুষ্টু বালকের মতোই ‘এল নিনো’ ওই মহাসাগরীয় অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের চাপ বাড়িয়ে এলোমেলো করে দেয় আবহাওয়াকে। প্রভাবিত হয় বর্ষা। প্রশান্ত মহাসাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারত মহাসাগরের বায়ুপ্রবাহের গতিও, নিয়ন্ত্রণ করে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুকে। ফলে এল নিনো জেগে উঠলে পরিস্থিতি কী হবে, তাই নিয়ে চৈত্রেই চিন্তিত আবহবিদরা।






















