এক্সপ্লোর
Advertisement
নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বড়সড় ত্রুটি, উত্তরপ্রদেশে বিধানসভায় উদ্ধার বিস্ফোরক, এনআইএ তদন্ত চাইলেন আদিত্যনাথ
লখনউ ও নয়াদিল্লি: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভার মধ্যে বিস্ফোরক পাওয়ার ঘটনায় এনআইএ তদন্ত চাইল যোগী আদিত্যনাথ সরকার।
১২ জুলাই দেশের বৃহত্তম এই বিধানসভায় বিধায়কদের বসার জায়গা থেকে একটি প্যাকেটে মোড়া বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। যদিও কোনও ডিটোনেটর পাওয়া যায়নি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বিধানসভায় আজ জানান, বিরোধী দল নেতা রামগোবিন্দ চৌধুরীর আসনের কাছ থেকে কাগজে মোড়া সাদা গুঁড়ো পাওয়া গিয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্টে জানানো হয়েছে, পিইটিএন (পেনটায়েরিথ্রিটল টেনট্রানাইট্রেট) জাতীয় বিস্ফোরক মিলেছে। বিস্ফোরকের পরিমাণ ছিল ১৫০ গ্রাম। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৫০০ গ্রামের ওই বিস্ফোরক দিয়ে গোটা উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
প্লাস্টিক জাতীয় হওয়ায় পিইটিএন সহজেই মেটাল ডিটেক্টরের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এমনকি তা স্নিফার ডগেরও নজর এড়াতে সক্ষম। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রথমে মনে করা হয়েছিল, প্যাকেটের মধ্যে পাউডার বা রাসায়নিক রয়েছে। কিন্তু ফরেনসিক পরীক্ষায় জানা যায়, এটি অত্যন্ত শক্তিশালী প্লাস্টিক বিস্ফোরক। কড়া নিরাপত্তা সত্বেও কীভাবে বিধানসভার ভিতরে বিস্ফোরক এল, কী উদ্দেশ্যে তা আনা হয় এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
কালো বাজারে মেলে এমন সব বিস্ফোরকের মধ্যে পিইটিএন অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে পরিচিত। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত করছে তারা, সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
লখনউ থেকে ৩২৫ কিলোমিটার দূরে দেওরিয়া থেকে ফারহান আহমেদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্বাধীনতা দিবসে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় সে। তার মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যদিও তার সঙ্গে বিধানসভায় বিস্ফোরক মেলার ঘটনার কোনও যোগসাজস আছে কিনা এখনই বলা সম্ভব নয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় তাঁর সুয়ো মোটো বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জঙ্গিদের ষড়যন্ত্র এই ঘটনার পিছনে রয়েছে, দ্রুত পর্দা ফাঁস করতে হবে গোটা ঘটনার। বিশেষ করে বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন এভাবে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় সরকার অত্যন্ত উদ্বিগ্ন বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কারণ বিধায়ক ও মার্শালরা ছাড়া আর কারও বিধানসভায় প্রবেশাধিকার নেই। মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ভবনের বাইরে রেখে ভেতরে ঢোকার জন্যও বিধায়কদের অনুরোধ করেছেন তিনি।
স্পিকার জানিয়েছেন, বিধানসভার নিরাপত্তায় আরও কড়াকড়ি করা হবে। অ্যান্টি টেররিজম স্কোয়াডকেও ভবনের ভেতরে ঢোকার অনুমতি দেন তিনি। বিরোধীরা সরকারপক্ষের নিরাপত্তা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সব পদক্ষেপ সমর্থন করেছে। তাদের প্রশ্ন, নিরাপত্তায় মোড়া বিধানসভার ভেতরে বিস্ফোরক নিয়ে আসা কীভাবে সম্ভব।
তবে কংগ্রেস গোটা ঘটনায় যোগী সরকারের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে। তাদের বক্তব্য, যে সরকার রাজ্য বিধানসভাকে নিরাপত্তা দিতে পারে না, তারা কীভাবে মানুষকে নিরাপত্তা দেবে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
খবর
বিনোদনের
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement