এক্সপ্লোর
Advertisement
কৌশলী মমতা! রাজ্যের স্বার্থে বৈঠক মোদী-জেটলির সঙ্গে
নয়াদিল্লি: দিল্লি সফরে দ্বিমুখী কৌশল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একদিকে মোদী সরকারের উপর রাজনৈতিক চাপ বাড়াতে নীতীশ কুমার-অরবিন্দ কেজরীবালদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে যুক্তরাষ্ট্রীয় ফ্রন্টের জল্পনা আরও উস্কে দেওয়া, অন্যদিকে রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক।
একসময় নীতি আয়োগের প্রথম বৈঠকে অংশ না নেওয়ায় বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু, পরবর্তীকালে কৌশল বদলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হতে বারবার সরাসরি নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। এবারের দিল্লি সফরেও তার ব্যতিক্রম হল না।
বুধবার দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ সংসদ ভবনে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় পনেরো মিনিট ধরে দু’জনের মধ্যে আলোচনা হয়। রাজ্যের ঘাড়ে বিশাল পরিমাণ ঋণের বোঝা নিয়ে ফের একবার সরব হন মুখ্যমন্ত্রী! রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে, হয় ঋণের পুনর্গঠন, নয় তো সফট লোন দেওয়ার দাবি জানান তিনি। পশ্চিমবঙ্গের মতো যে রাজ্যগুলি ঋণে জর্জরিত, তারা যাতে ব্যয় সামলে যথাযথভাবে উন্নয়নের পথে হাঁটতে পারে, তার জন্য কেন্দ্রের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর আগে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির বাসভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গেও বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন ভাইপো অভিষেক। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পরপর বৈঠকের মধ্যেই কৌশল দেখতে পাচ্ছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। তাদের মতে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের স্বার্থে একসময় তৎকালীন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গে যেভাবে সম্পর্ক রেখে চলতেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, তেমনই শুধুমাত্র বঞ্চনার অভিযোগে সরব না হয়ে, সরাসরি কথা বলে দাবিদাওয়া আদায়ের চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেইসঙ্গে রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে বিজেপি সরকারের উপর চাপ বাড়াতে, আঞ্চলিক শক্তিগুলিকে একত্রিত করার কাজও দিল্লি সফরে করে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাতে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে বৈঠকের পর, বুধবার অরবিন্দ কেজরীবালের সঙ্গে সাক্ষাৎ।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই মঞ্চ তৈরি করে রাখতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী। সে কারণেই সমাজবাদী পার্টি থেকে জেডিইউ, আম আদমি পার্টি, বিজু জনতা দল-- সব ক্ষমতাসীন আঞ্চলিক শক্তির সঙ্গেই কথা বলে রাখছেন তিনি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
হুগলি
মালদা
শিক্ষা
জেলার
Advertisement