টিকিট না মেলায় ক্ষুদ্ধ, মোদীর অনুরোধ সত্ত্বেও রাজনীতি থেকে অবসর বিদায়ী বাঙালি বিজেপি বিধায়কের
নয়াদিল্লি: নির্বাচনের টিকিট না মেলায় প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ সত্ত্বেও রাজনীতি থেকে অবসর ঘোষণা করলেন বারাণসীর প্রবীণ বাঙালি বিজেপি নেতা শ্যামদেব রায় চৌধুরী।
বারাণসী দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে সাতবারের বিধায়ক চৌধুরী। কিন্তু, এবারের নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়নি বলে দলের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী।
সাত দফার উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে বুধবারই সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলছে। এদিন অন্যান্য কেন্দ্রের মত বারাণসীতেও চলছে ভোটগ্রহণ। তার মধ্যেই রাজনীতি থেকে অবসর ঘোষণা এই নেতার।
তাঁকে টিকিট না দেওয়া নিয়ে, চৌধুরি দলীয় নেতৃত্বকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন একজন নতুন মুখ আনার জন্য পুরনো সৈনিককে বাদ পড়তে হবে? তাঁর দাবি, বিজেপির এই সিদ্ধান্তে শহরের ভোটারদের একাংশও অখুশি। প্রসঙ্গত, বারাণসীতে চৌধুরীকে ভালবেসে সকলে 'দাদা' বলে ডেকে থাকেন।
গত শনিবার, নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী সফরের প্রথম দিন—কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের সামনে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান চৌধুরী। কিন্তু, মোদী ভেতরে গেলেও, ক্ষুব্ধ চৌধুরী বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী তা লক্ষ্য করে, এই প্রবীণ নেতাকে জড়িয়ে ধরে ভেতরে নিয়ে যান।
জানা যায়, পরে চৌধুরীর মানভঞ্জন করতে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব কোনও কসুর করেনি। সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহও তাঁর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। যদিও, চৌধুরীর দাবি, কেন তাঁকে বাদ দেওয়া হল, সেই প্রশ্নের সদুত্তর তিনি পাননি।
তবে, দলীয় সূত্রের খবর, ৭৭ বছরের চৌধুরীর বিরুদ্ধে বড় ভূমিকা নিয়েছে তাঁর বয়স। যা ভেবেই এবার ওই আসনে টিকিট দেওয়া হয় তরুণ নীলকণ্ঠ তিওয়ারিকে।