তেজস্বীর পদত্যাগের দাবির বিরোধিতায় ‘হুঙ্কার’ লালুর, ড্যামেজ কন্ট্রোলে জেডিইউ
পটনা: মহাজোটের অন্যতম সহযোগী আরজেডি-র সঙ্গে ‘ফাটল’ মেরামতির কাজে নেমে পড়ল শাসক দল জনতা দল ইউনাইটেড। উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের পদত্যাগ চাননি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এমনটাই জানাল জেডিইউ।
গতকালই, অরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব ‘হুঙ্কার’ দেন, তাঁর ছেলে তথা বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের পদত্যাগ করার কোনও প্রশ্নই নেই।
জেডিইউ নেতা কে সি ত্যাগী বলেন, নীতীশ কুমার নৈতিকতা ও আদর্শ মেনে চলেন। মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বীর পদত্যাগ চাননি। তবে, দলের নীতি ও ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে নির্দোষ প্রমাণ করে আসতে হবে।
এর আগে প্রতিক্রিয়ায় লালুপ্রসাদ জানিয়েছিলেন, এফআইআর হয়েছে মাত্র। ফলে, পদত্যাগের প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে। এদিন ত্যাগী বলেন, প্রাথমিক তদন্তের পরই এফআইআর দায়ের করা হয়। তাঁর মতে, সত্যের সামনে আসা উচিত।
যদিও, এর ফলে মহাজোটের ওপর কোনও প্রভাব পড়বে না বলেই মনে করছে জেডিইউ। ত্যাগী বলেন, নীতীশ কুমার কখনই মহাজোটের ক্ষতি করতে চাইবেন না।
তেজস্বীকে নিয়ে বিতর্কের মধ্যেও মহাজোট নিয়ে সমান আশাবাদী লালুপ্রসাদও। তিনিও মনে করেন, জেডিইউ-আরজেডি-কংগ্রেস মহাজোট অবিচ্ছেদ্য। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি ও আরএসএস মহাজোট ভাঙার জন্য অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে আর্থিক ও জমি কেলেঙ্কারি মামলায় আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদব, স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী, ছেলে তেজস্বী যাদব সহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে সিবিআই।
এর পরই, আরজেডি ও জেডিইউ-র মধ্যে ‘ফাটল’ ধরা পড়ে। গতকালই, দলের প্রধান মুখপাত্র সঞ্জয় সিংহ বলেন, ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ২২ জনে নেমে এসেছিল ওরা, এটা মাথায় রাখা উচিত।
তিনি যোগ করেন, ২০১৫ সালে ওই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে কারণ, মানুষ নীতীশ কুমারকে দেখে ভোট দিয়েছেন। সঞ্জয়ের মতে, সেটার বদলে ওদের উচিত, অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করা।
দলের আরেক মুখপাত্র নীরজ কুমার বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে, তাঁদের উচিত সম্পত্তির উৎসের ব্যাখ্যা দিয়ে বিরোধী-মুখ বন্ধ করা। জেডিইউ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, নীতীশ কুমারের ‘স্বচ্ছ ভাবমূর্তির’ সঙ্গে তারা কোনও মতেই আপস করবে না।