এক্সপ্লোর
Advertisement
শুল্ক ছাঁটাইয়ের মতো স্তরে পৌঁছয়নি পেট্রল-ডিজেলের দাম, বলছে কেন্দ্র
নয়াদিল্লি: সাধারণ মানুষের ক্ষোভ বাড়িয়ে ডিজেল ও পেট্রলের দাম বেড়েই চলেছে। ডিজেলের দাম পৌঁছেছে এমন উচ্চতায়, যেখানে আগে কখনও উঠতে দেখা যায়নি তাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেট্রলের দরও। কিন্তু সরকার মনে করছে যে, এই দুটি জ্বালানির দাম এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছয়নি যে শুল্ক কমানোর কথা ভাবতে হবে। কেন্দ্রের আর্থিক বিষয় সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ এ কথা বলেছেন। অন্তঃশুল্কের পরিমাণ কমিয়ে পেট্রোল ও ডিজেলের দামে লাগাম টানার দাবি অনেকদিন থেকেই তুলছেন সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলি। কিন্তু সেই দাবিতে সরকার যে এখনই কর্ণপাত করতে নারাজ তা বুঝিয়ে দিলেন গর্গ।
এক সাক্ষাত্কারে গর্গ বলেছেন, তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে যদি রান্নার গ্যাস (এলপিজি)-র দাম চড়ে তাহলে তা সরকারের আর্থিক অঙ্কে প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ, রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে ভর্তুকি দিয়ে হয় সরকারকে।
গর্গ বলেছেন, রান্নার গ্যাস ছাড়া অন্য কোনও জ্বালানিতে ভর্তুকি নেই। অপ্রত্যক্ষ ভর্তুকিতে প্রভাব পড়তে পারে, এমন উচ্চতায় অপরিশোধিত তেলের দাম পৌঁছলে সেক্ষেত্রে শুল্ক ছাঁটাই নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হতে পারে। যদিও দর কতটা উঁচুতে পৌঁছলে শুল্ক ছাঁটার কথা ভাবা যায়, সে সম্পর্কে কোনও ইঙ্গিত দেননি তিনি।
পেট্রোল ও জিজেলে শুল্ক একটাকা করে কমানো হলেও সরকারের রাজস্ব ক্ষতির পরিমাণ ১৩ হাজার কোটি টাকা হবে।
কর্নাটকের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সরকার শুল্ক কমানোর কথা ভাবছে কিনা বা রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলিকে দর আর না বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে গর্গ বলেছেন, এমন কিছু জানা নেই।
মুম্বই, ভোপাল ও পটনা সহ দেশের অন্যান্য শহরে পেট্রলের দাম প্রতি লিটারে ৭০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। দিল্লিতে পেট্রলের দাম প্রতি লিটারে ৭৪.৬৩ টাকা, বেঙ্গালুরুতে ৭৫.৮২ টাকা, হেদরাদুনে ৭৬.৩৩ টাকা, হায়দরাবাদে ৭৯.০৪ টাকা, জয়পুরে ৭৭.৩১ টাকা, জম্মপতে ৭৬.৪০ টাকা, জলন্ধরে ৭৯.৮৩ টাকা, লখনউয়ে ৭৫.৮৩ টাকা, কলকাতায় ৭৭.৩২ টাকা। দিল্লি ও মুম্বইয়ে দাম গত ২৪ এপ্রিলের মতোই।
দিল্লিতে পেট্রলের দাম লিটারে ৭৪.৬৩ টাকা। এরমধ্যে পেট্রলের প্রকৃত দাম ৩৫.৬৮ টাকা। এতে রয়েছে ১৯.৪৮ টাকা এক্সাইজ ডিউটি, ৩.৬০ টাকা ডিলার কমিশন ও ১৫.৮৭ টাকা ভ্যাট। সবমিলিয়ে দিল্লিতে করের পরিমাণ ৩৮.৯৫ টাকা।
পেট্রোলের লাগাতার দামবৃদ্ধি নিয়ে বিজেপি নেতা নরেন্দ্র তনেজা বলেছেন, ক্রেতারা কী ভাবছেন, আমরা তা জানি। জনতা বিষয়টি বুঝেছেন। আমরা রাজনৈতিক দল। জনগনের সঙ্গে আমাদের সরাসরি সম্পর্ক। জনতার এতে কোনও সমস্যা নেই।
অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতা অখিলেশ প্রতাপ সিংহ বলেছেন, বিজেপি নেতারা মানুষের সমস্যা নিয়ে উপহাস করছেন। কংগ্রেসের সময় যখন অপরিশোধিত তেলের দাম চড়া ছিল তখন বিজেপি নেতারা দাম বৃদ্ধি নিয়ে শোরগোল ফেলে দিতেন। কিন্তু বিজেপির আমলে যখন থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমা শুরু হয়, তখন থেকেই তেলের দাম বাড়ছে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
বিনোদনের
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement