PM Modi All Party Meet: "আর বেশিদিন অপেক্ষা নয়, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভারতে ভ্যাকসিন", ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
"প্রথমে ভ্যাকসিন পাবেন করোনা-যোদ্ধারা, যাদের জন্য খুব জরুরি"
নয়াদিল্লি: করোনা ভ্যাকসিনের জন্য আর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। এমনটাই আশার বাণী শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বললেন, ‘আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে ভ্যাকসিন।’
দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সর্বদলীয় বৈঠক বসেছিল। ভার্চুয়াল মাধ্যমে বৈঠক হয়। কোভিড-১৯ পরিস্থিতির পাশাপাশি, ভ্যাকসিন নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ছিলেন উভয় কক্ষের বিরোধী দলের নেতারা।
বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতে তিনটি আলাদা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চলছে। ভ্যাকসিনের জন্য খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে ভ্যাকসিন। সংস্থাগুলিকে সবুজ সঙ্কেত দিলেই ভারতে ভ্যাকসিন।’
মোদি জানিয়ে রাখেন, প্রথমে ভ্যাকসিন পাবেন করোনা-যোদ্ধারা। তিনি বলেন, ‘যাদের জন্য ভ্যাকসিন খুব জরুরি তারা আগে ভ্যাকসিন পাবে। এ নিয়ে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে।’ তিনি একইসঙ্গে জানিয়ে রাখেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে অন্যান্য দেশকে সাহায্য করবে ভারত।
প্রসঙ্গত, গতকালই ভ্যাকসিন নিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন রাহুল গাঁধী। ট্যুইট করে তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন সকলে করোনা ভ্যাকসিন পাবেন। বিহার ভোটের আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, প্রত্যেক বিহারবাসী করোনা ভ্যাকসিন পাবেন। এখন কেন্দ্র সরকার বলছে, কখনওই বলা হয়নি প্রতেককে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। রাহুলের প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীর অবস্থানটা তাহলে কী?
এর আগে, ভারতে কোন পর্যায়ে করোনা ভ্যাকসিন তৈরির কাজ, তা খতিয়ে দেখতে গত সোমবার দেশের তিন শহরে ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী। সকালে আমেদাবাদ, দুপুরে হায়দরাবাদ ও শেষে পুনের ভ্যাকসিন ল্যাবে যান তিনি। কথা বলেন গবেষকদের সঙ্গে।
আমদাবাদের ল্যাবে জাইকোভ-ডি নামক ভ্যাকসিন তৈরি করছে জাইডাস ক্যাডিলা। প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ করেছে জাইডাস ক্যাডিলা। অগস্ট থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছে তারা। পিপিই কিট পরে, ল্যাবে গিয়ে ভ্যাকসিন তৈরির অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজ নেন প্রধানমন্ত্রী।
আমদাবাদের পর প্রধানমন্ত্রীর দ্বিতীয় গন্তব্য ছিল হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের দফতর। সেখানে তৈরি হচ্ছে আরেকটি দেশীয় করোনা প্রতিষেধক কোভ্যাকসিন। ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে রয়েছে কোভ্যাক্সিন। সেখানেও গবেষকদের সঙ্গে কথা বলে ভ্যাকসিনের খোঁজখবর নেন প্রধানমন্ত্রী।
হায়দরাবাদের পর প্রধানমন্ত্রীর শেষ গন্তব্য ছিল পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে এদেশে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউট।