এক্সপ্লোর
Advertisement
বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্র, রাজ্য সরকারের প্রভাবশালীদের নীরবতা দুঃখজনক, ঝাড়খণ্ডে সংখ্যালঘু যুবকের ‘গণপিটুনি’তে হত্যায় রাহুলের ট্যুইট
গত ১৮ জুন তবরেজ আনসারি নামে ওই সংখ্যালঘু যুবককে চুরির অভিযোগে পিটিয়ে মারার ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলতে বাধ্য করছে উত্তেজিত জনতা, সঙ্গে চলছে মারধর।
নয়াদিল্লি: ঝাড়খণ্ডে গণপিটুনি দিয়ে ২৪ বছরের যুবকের হত্যার অভিযোগ নিয়ে সরব রাহুল গাঁধী। ঘটনাটিকে ‘মানবতার কলঙ্ক’ আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, এ ব্যাপারে বিজেপি শাসিত কেন্দ্রের, ওই রাজ্যের সরকারের প্রভাবশালী লোকজনের ‘নীরবতা’ দুঃখজনক।
The brutal lynching of this young man by a mob in Jharkhand is a blot on humanity. The cruelty of the police who held this dying boy in custody for 4 days is shocking as is the silence of powerful voices in the BJP ruled Central & State Govts. #IndiaAgainstLynchTerror pic.twitter.com/4MKvli1ohC
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) June 25, 2019
গত ১৮ জুন তবরেজ আনসারি নামে ওই সংখ্যালঘু যুবককে চুরির অভিযোগে পিটিয়ে মারার ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যাচ্ছে, তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’, ‘জয় হনুমান’ বলতে বাধ্য করছে উত্তেজিত জনতা, সঙ্গে চলছে মারধর। ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা খারসাওয়ান জেলার ঘটনাটি নিয়ে শোরগোল চলছে। শনিবার জখম তবরেজকে জামসেদপুরের টাটা মেইন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে ‘মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে’ বলে জানিয়ে দেন ডাক্তাররা। কংগ্রেস সভাপতি 'India Against Lynch Terror' হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ট্যুইট করেন, ঝাড়খণ্ডে জনতার হাতে নৃশংস কায়দায় গণপিটুনিতে যুবক হত্যার ঘটনাটি মানবতার লজ্জা। চারদিন ধরে পুলিশ মৃত্যুপথযাত্রী ছেলেটিকে হেফাজতে রেখে দিয়ে যে নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে, বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয়, রাজ্য সরকারে শক্তিশালী কন্ঠস্বর যাঁদের, তাঁদের নীরবতাও সমান বিস্ময়কর। ওই ঘটনার ভিডিও থেকে একটি ছবিও ট্যুইটে দেন রাহুল।
১১ জনকে এপর্যন্ত তবরেজের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত অভিযোগে গ্রেফতারের পাশাপাশি ঘটনাটি খতিয়ে দেখার জন্য বিশেষ তদন্ত দল (সিট)-ও গঠন করা হয়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি তবরেজের মৃত্যুর তীব্র নিন্দা করে আজ বলেছেন, মানুষকে বুকে টেনে নিয়েও জয় শ্রীরাম বলা যায়, তাদের গলা টিপে ধরে নয়। এধরনের ঘটনা কখনও মেনে নেওয়া চলে না। আমাদের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত এটাই যে, ধ্বংসাত্মক এজেন্ডা দিয়ে উন্নয়নের কর্মসূচির ক্ষতি করতে দেওয়া হবে না। এমন ঘটনায় জড়িত লোকজনের উদ্দেশ্য একটাই-সরকারের তৈরি করা ইতিবাচক আবহাওয়া নষ্ট করা। এগুলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং আমরা এর সম্পূর্ণ বিরোধী। এমন জঘন্য কাজ যারা করে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement