রাজস্থানে রাজধানী এক্সপ্রেসে দুঃসাহসিক ডাকাতি, যাত্রীদের মাদক খাইয়ে ১০-১৫ লক্ষ টাকা লুঠ
নয়াদিল্লি: ডাকাতদলের খপ্পরে খোদ রাজধানী এক্সপ্রেস!
অভিযোগ, যাত্রীদের মাদক খাইয়ে তাঁদের সর্বস্ব লুঠ করে পালিয়ে যায় ডাকাতরা। দেশের অন্যতম সুরক্ষিত ট্রেনে ঘটে যাওয়া ডাকাতির ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রেলের নিরাপত্তা।
খবরে প্রকাশ, বুধবার রাজস্থানের কোটার কাছে মুম্বই থেকে নিজামুদ্দিনগামী রাজধানী এক্সপ্রেসে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মোট ৭টি কামরা—সবকটি বাতানুকূল দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণিকে ডাকাতদল টার্গেট করে। রেল সূত্রে খবর, এ১, এ৩, বি৫, বি৬, বি৭, বি৯ ও বি১০ কামরায় ডাকাতি হয়।
খবরে প্রকাশ, ডাকাতি হয়েছে সম্ভবত রাত ২টো থেকে ৩টের মধ্যে। লুঠ হওয়া সামগ্রীর মূল্য প্রায় ১০-১৫ লক্ষ টাকা। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রথমে তাঁদের মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে অচৈতন্য করা হয়। তারপর চলে অবাধ লুঠপাট।
লুঠ হওয়া সামগ্রীর মধ্যে বেশি নগদ ছিল। পাশাপাশি, যাত্রীদের আই-ফোন সহ দামী মোবাইল, ঘড়ি ও অন্যান্য মুল্যবান সামগ্রী চুরি করে নিয়েছে ডাকাতরা। এমনকী, কয়েকজনের আধার কার্ডও খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনায় ১১ জন যাত্রী পুলিশের কাছে এফআইআর দায়ের করেছে। যাত্রীদের অভিযোগ, তাঁদের ওয়ালেট ও পার্স খালি করে সেগুলি কামরার শৌচাগারের সামনে ফেলে দেয় ডাকাতরা।
প্রসঙ্গত, মুম্বই-নিজামুদ্দিন রাজধানী হল ওই রুটের অন্যতম প্রিমিয়াম ও জনপ্রিয় ট্রেন। এই ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রেল। রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু জানান, চুরি ও অন্যান্য অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতে প্রত্যেক কামরায় সিসিটিভি বসানো রয়েছে।
যদিও, তা সত্ত্বেও যে তা রোখা সম্ভব হয়নি, তা এদিনের ঘটনায় প্রমাণিত। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কী করে রাজধানীর মতো সুরক্ষিত ট্রেনে ডাকাতরা উঠল, তা নিয়ে ধন্দ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় অভ্যন্তরীণ যোগ থাকার সম্ভাবনা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আরপিএফ-এর তিন সদস্যের এসকর্ট টিমকে জেরা করা হচ্ছে।