কাজে যোগ দিলেন চার বিচারপতি, সব মিটমাট হয়ে গিয়েছে, দাবি বার কাউন্সিলের
নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি-তরজা শেষ হয়েছে বলে দাবি করল বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (বিসিআই)। এদিনই কাজে যোগ দেন চার বিচারপতি।
বিসিআই-এর সংগঠনের চেয়ারম্যান মনন কুমার মিশ্রর নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের প্রতিনিধি দল গতকাল প্রধান বিচারপতি সহ ১৫ জন শীর্ষ বিচারপতির সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করে। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, চার বিচারপতির বিদ্রোহ ‘পরিবারের অভ্যন্তরীণ ইস্যু’ ছিল এবং তার সমাধানও অভ্যন্তরীণভাবেই করা হয়েছে।
মিশ্র বলেন, গল্প শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে, তিনি রাজনৈতিক দলগুলির উদ্দেশ্যে সতর্ক করে জানিয়েছেন, গত ১২ তারিখে চার বিচারপতির মন্তব্য নিয়ে কেউ যেন অযথা ইন্ধন না জোগায়। তাঁর মতে, এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।
তিনি জানান, বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে পেরে খুশি বিসিআই। মিশ্রর মতে, এণই নিয়ে বাইরের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই। তিনি যোগ করেন, সমস্যা সমাধানের জন্য কারও ওপর কোনও শর্ত চাপানো হয়নি। মিশ্র নিশ্চিত, বিবাদমান বিচারপতিরা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতেই সব সমস্যার সমাধান করে ফেলবে।
এর আগে, কেন্দ্রের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, যে বিচারপতিদের সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। এদিন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানান, সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। আদালতের কাজও শুরু হয়েছে। চার বিচারপতির বিস্ফোরক সাংবাদিক বৈঠককে চায়ের কাপে ঝড় বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১২ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন চার বিচারপতি-- বিচারপতি জে চেলামেশ্বর, বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি মদন লোকুর এবং বিচারপতি ক্যুরিয়ন জোশেফ। ভারতবর্ষের ইতিহাসে নজিরবিহীনভাবে প্রথমবার প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতির বিস্ফোরক দাবি করেন। যারপর গোটা দেশে শোরগোল পড়ে যায়।
চার বিচারপতির অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ মামলা কোনও যৌক্তিকতা ছাড়াই পছন্দের বেঞ্চকে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র। গুরুত্ব দেননি অন্যান্য সিনিয়র বিচারপতিদের মতামতকে। তাঁদের আরও অভিযোগ, গণতন্ত্র বিপন্ন। সুপ্রিম কোর্টের নিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ণ রাখতে না পারলে, এ দেশেও গণতন্ত্রও বজায় থাকবে না।
এদিন মিশ্র বলেন, সব মিটমাট হয়ে গিয়েছে। যা সমস্যা ছিল, এখন আর নেই। চার বিচারপতি কাজে যোগ দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছেন। তিনি মনে করেন, এই নিয়ে নতুন করে কারও কাটাছেঁড়া করার কোনও প্রয়োজন নেই।