“মতাদর্শগত ফারাক, কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে পারব না”, শিবসেনা ছাড়লেন ২১ বছরের পুরনো কর্মী
মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথমবার, শিবসেনা পরিবারের কোনও নেতা মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন।
মু্ম্বই: মহারাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথমবার, শিবসেনা পরিবারের কোনও নেতা মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন। ভোটে না লড়লেও সিংহাসনে বসতে চলেছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। একসময়ের বিরোধী কংগ্রেস এবং এনসিপি-র সমর্থনেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসছেন উদ্ধব। যার জন্য কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে উদ্ধব বলেন, “এতদিন যাদের বিরুদ্ধে লড়লাম, তাঁরাই আজ আমার ওপর আস্থা রাখল।” তবে শিবসেনা প্রধান কংগ্রেসে আস্থা রাখলেও একসময়ের বিরোধীর ওপর ভরসা করতে পারলেন দলেরই তরুণ নেতা রমেশ সোলাঙ্কি। আর সে জন্যই দলের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন যুবসেনার নেতা রমেশ।
একাধিক ট্যুইটে উদ্ধব ঠাকরে, আদিত্য ঠাকরেকে ধন্যবাদ জানিয়ে ২১ বছরের সম্পর্ক ভাঙলেন রমেশ। ট্যুইটে এই যুবনেতা লিখেছেন, “২১ বছর ধরে দলের সৈনিক হয়ে লড়েছি। কখনও কোনও পদ, ভোটের টিকিট চাইনি। আজ দল একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে কংগ্রেস ও এনসিপির হাত ধরে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ছ। সরকার গড়া ও শিবসেনার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় সকলকে অভিনন্দন। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে কাজ করতে পারব না। মতাদর্শগত প্রতিবন্ধকতার কারণেই আমি আমার পদ থেকে সরে যাচ্ছি।”
So with a heavy heart I am making most difficult decision of my life, I am resigning from @ShivSena ???? All ShivSainiks are n will always be my brothers and sisters, its a special bonding which blossomed during this 21 years I will always remain Balasaheb's ShivSainik at heart
— Ramesh Solanki (@Rajput_Ramesh) November 26, 2019
আরও একটি ট্যুইটে রমেশ লিখেছেন, “যখন জাহাজডুবি হয়, তখন সবথেকে আগে ইঁদুররা দৌড়ে পালায়। আমি দল ছাড়ছি, যখন শিবসেনা সরকার গঠন করছে এবং মুখ্যমন্ত্রীও হচ্ছেন দলেরই নেতা। নিজের মতাদর্শে দাঁড়িয়ে থেকে মাথা উঁচু করে দল ছাড়লাম।”
There is a proverb "जब जहाज डूबता है सबसे पहले चूहे कूदकर भागते हैं" But I am leaving on a winning note I am leaving when ShivSena is in strong postion I am leaving when ShivSena is forming govt in Maharashtra I am walking out as proud ShivSainik for my ideology n principles
— Ramesh Solanki (@Rajput_Ramesh) November 26, 2019
প্রসঙ্গত, ভোটের আগে শিবসেনা-বিজেপি জোট করে লড়লেও ফল বেরোতেই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয় দুই শরিকের মধ্যে। শিবাসেনার আড়াই-আড়াই বছরে মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি বিজেপি মেনে নেয়নি। ভেঙে যায় জোটও। পরে বেনজির ভাবে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা হয় শিবসেনার। এরই মধ্যে সংখ্যা না থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে বসেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। যদিও তাঁকে ইস্তফা দিতে হয়। আস্থা ভোটে যাওয়ার আগেই ইস্তফা দেন তিনি। এরপরই উদ্ধবের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন উদ্ধব ঠাকরে।