ফেরত আসা নোটের বড় অংশ হয়ত কালো টাকা, দাবি কেন্দ্রের
নয়াদিল্লি: নোট বাতিল নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পেশ করা তথ্যের প্রেক্ষিতে বিরোধী আক্রমণের সামনে সাফাই তুলে ধরল মোদী সরকার। বুধবার, কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়, ফেরত আসা নোটের মধ্যে একটা বড় অংশ সম্ভবত কালো টাকা ছিল।
এদিনই, আরবিআই ঘোষণা করে, বাতিল হওয়া পুরনো ১০০০ নোটের প্রায় ৯৯ শতাংশ ফিরে এসেছে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, নোট বাতিলের আগে, বাজারে প্রায় ১৫.৪ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের পুরনো ১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট চালু ছিল।
শীর্ষ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, নোট বাতিলের পর থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা ফেরত এসেছে। আরবিআই-এর এই ঘোষণার পরই মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বিরোধীরা। তারা নোট বাতিলের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তোলে।
এদিন অর্থমন্ত্রকের তরফে পেশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কর সংস্থাগুলি ১৭,৫২৬ কোটি টাকার অঘোষিত আয়ের হদিস পেয়েছে। এর মধ্যে ১,০০৩ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ফেরত আসা নোটের একটি বড় অংশ সম্ভবত অঘোষিত ও কালো টাকা হতে পারে।
নোট বাতিলের স্বপক্ষে এদিন জোর সওয়াল করতে আসরে নামেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। বলেন, ডিমোনেটাইজেশনের লক্ষ্য ছিল প্রধানত ভারতকে নগদ-নির্ভর অর্থনীতি থেকে বের করা। তাঁর দাবি, নোট বাতিলের ফলে ভারতে প্রত্যক্ষ করের হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
জেটলি জানান, সিস্টেম থেকে নগদ বের করতে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার, নির্বাচনে কালো টাকার রমরমা রুখতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, নোট বাতিলের ফলে সন্ত্রাসবাদী, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও মাওবাদীরা ঘোর সমস্যায় পড়েছে।
নোট বাতিলের ফলে, মানুষ বাধ্য হয়েছে ব্যাঙ্কে টাকা জমা করতে। ফলে, করদাতার সংখ্যা থেকে শুরু করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের পরিধি, ডিজিটাইজেশন বেড়েছে। অন্যদিকে কমেছে বাজারে নোটের জোগান ও ব্যবহার।
আরবিআই-এর ঘোষণার পরই কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। এই প্রেক্ষিতে এদিন নোট বাতিলের সমালোচনায় সরব হওয়া বিরোধীদেরও পাল্টা একহাত নেন জেটলি।
তিনি বলেন, কালো টাকার মোকাবিলা কীভাবে করা যায়, সেই জ্ঞান যাঁদের নেই, তাঁরাই নোট বাতিলের সঙ্গে বাতিল নোট ফেরতের তুলনা করছেন। জেটলি যোগ করেন, এখন টাকা আসল মালিকের কাছেই রয়েছে।