এক্সপ্লোর
সোহরাবুদ্দিন মামলায় অমিত শাহকে ক্লিনচিট দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে পিটিশন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

নয়াদিল্লি: বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে ২০০৫ সালের সোহরাবুদ্দিন শেখ ভুয়ো সংঘর্ষ মামলা থেকে রেহাই দেওয়ার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পেশ করা পিটিশন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। বম্বে হাইকোর্ট অমিত শাহকে অব্যাহতি দিয়ে নিম্ন আদালত ঘোষিত রায় বহাল রেখেছিল। হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে সর্বোচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন সমাজকর্মী হর্ষ মান্দের। সোমবার বিচারপতি এস এ বোবদে ও বিচারপতি অশোক ভূষণকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ মান্দেরের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাঁর আবেদন বাতিল করে। প্রাক্তন আমলা মান্দেরের পিটিশনের ওপর আধ ঘণ্টা শুনানিতে বেঞ্চ বলেছে, আবেদনকারী যদি প্রকৃতই ক্ষতিগ্রস্ত হন, তবে আবেদনের গুরুত্ব থাকে, কিন্তু যখন তাঁর সঙ্গে মামলার সামান্যতম সম্পর্কও নেই এবং তিনি মামলাটি খুঁচিয়ে তুলতে চান, তখন বিষয়টা অন্যরকম হয়ে যায়। মামলার সঙ্গে বিন্দুমাত্র সংযোগ নেই মান্দেরের। প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে স্ত্রী কৌসর বি-র সঙ্গে গুজরাত পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয় সোহরাবুদ্দিন শেখ নামে গ্যাংস্টার। তখন অমিত শাহ গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সোহরাবুদ্দিনের সহযোগী তথা ওই সংঘর্ষের প্রত্যক্ষদর্শী তুলসিরাম প্রজাপতিও পরের বছর নিহত হয়। অভিযোগ ওঠে, অমিত শাহের নির্দেশে সোহরাবুদ্দিনের মতো তাকেও ঠাণ্ডা মাথায় খুন করেছে গুজরাত পুলিশ। ২০১২ সালে শাহ ও অন্যান্য শীর্ষ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে খুন ও নথি, প্রমাণ নষ্ট করে ফেলার অভিযোগে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। কেন্দ্রীয় তথ্য সংস্থাটি জানায়, তোলাবাজি চক্রের ব্যাপারে অমিত শাহের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ার পর বাস থেকে টেনে নামিয়ে খুন করা হয়েছিল সোহরাবুদ্দিনকে। ২০১৪-র ৩০ ডিসেম্বর মু্ম্বইয়ের দায়রা আদালত অমিত শাহকে ক্লিনচিট দেয়। সেই রায় বহাল রেখে মুম্বই হাইকোর্টও জানিয়ে দেয়, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণেই তাঁকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে সোহরাবুদ্দিন হত্যায় জড়িত থাকার কোনও প্রমাণই নেই। এর বিরুদ্ধেই শীর্ষ আদালতে যান মান্দের। ফের তদন্ত করে দেখতে হবে শাহের ভূমিকা, আর্জি জানান তিনি। কিন্তু খারিজ করে দেয় বেঞ্চ। বিচারপতিরা এও বলেন, একবার রেহাই পেয়েছেন উনি (শাহ)। বারবার কি ওঁর বিচার হবে? মান্দেরের হয়ে আইনজীবী কপিল সিবাল বলেন, আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নয়, সাধারণ মানুষ যেন এটা দেখতে পান। বেঞ্চ বলে, আদালতও কাউকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করে না। সিবাল বলেন, সিবিআই চার্জশিট পেশ করেছে। কিন্তু কেন বেঁকে বসল, বুঝতে পারছি না। এমনকী সোহরাবুদ্দিনের ভাইও, যিনি শাহের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন, তিনিও তা প্রত্যাহার করে নিলেন। এটা হাই প্রোফাইল মামলা। গুজরাত থেকে মামলাটি সরিয়ে মহারাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে। ন্যয় বিচার দিতে হবে। বেঞ্চ এই মামলায় মান্দেরের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সিবল শীর্ষ আদালতেরই পুরানো কিছু রায়ের নজির তুলে বলেন, সমাজের যে কেউ এই মামলায় বৈধ পক্ষ হতে পারেন। তিনি বলেন, সিবিআই চার্জশিট পেশ করল। কিন্তু শাহকে করল ১৬ নম্বর অভিযুক্ত। এটা তো খুনের মামলা। অমিত শাহের তরফে তাঁর কৌঁসুলি হরিশ সালভে সুপ্রিম কোর্টের নানা রায়ের উল্লেখ করে মান্দেরের আইনি এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, এই আদালত ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছে যে, মামলার সঙ্গে সম্পর্ক না থাকলে কেউ অন্য কারও বিচারে নাক গলাতে পারে না। সালভে আরও বলেন, এটা হতে পারে না যে, সরকার আবেদন করল না বলে আমিই আবেদন করব। ক্ষতিগ্রস্ত না হলে তৃতীয় কোনও পক্ষকে বিচারে হস্তক্ষেপের অনুমতি দেওয়া যায় না, এও বলে দিয়েছে আদালত।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও পড়ুন
POWERED BY
সেরা শিরোনাম
ব্যবসা-বাণিজ্যের
অটো
ব্যবসা-বাণিজ্যের
অটো






















