এক্সপ্লোর
Advertisement
দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে খেলা করছেন রাহুল-মমতা, এনআরসি প্রসঙ্গে আক্রমণ জেটলির
নয়াদিল্লি: অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জী (এনআরসি) নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ জেটলি। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে আপস করছে কংগ্রেস। রাহুল গাঁধী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেতা-নেত্রীদের বুঝতে হবে, ভারতের সার্বভৌমত্ব খেলা করার বিষয় নয়। সার্বভৌমত্ব ও নাগরিকত্ব ভারতের আত্মা। আমদানি করা ভোটব্যাঙ্ক নয়।’
জেটলির আরও দাবি, ‘ইন্দিরা গাঁধী ও রাজীব গাঁধী যথাক্রমে ১৯২ ও ১৯৮৫ সালে বিদেশিদের বিতাড়ন করার বিষয়ে নির্দিষ্ট অবস্থান নিয়েছিলেন। কিন্তু রাহুল গাঁধী বিপরীত অবস্থান নিয়েছেন এবং এক্ষেত্রে তাঁর দল বিরোধিতা করছে। একইভাবে ২০০৫ সালে বিজেপি-র জোটসঙ্গী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দিষ্ট অবস্থান নেন। এখন ফেডারেল ফ্রন্টের নেত্রী হিসেবে তিনি উল্টো কথা বলছেন। এই ধরনের খামখেয়ালী মস্তিষ্ক ও পলকা হাতে কি ভারতের সার্বভৌমত্ব স্থির করা যায়?’
এনআরসি নিয়ে দু’দিন ধরে তৃণমূল ও কংগ্রেস সাংসদদের বিক্ষোভের জেরে রাজ্যসভার অধিবেশন বানচাল হয়ে গিয়েছে। এই ইস্যুতে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ করেছেন মমতা। আজ জেটলি পাল্টা বলেছেন, ‘বিরোধীরা মরিয়া হয়ে যুক্তি দিচ্ছে, এটা মানবাধিকারের বিষয়। কোনও শরণার্থী যদি নির্যাতনের শিকার হন, তাহলে মানবিকতার খাতিরে বিষয়টি বিবেচনা করা যায়। কিন্তু বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের ক্ষেত্রে সেটা হয় না। কোনও ব্যক্তির সেটা করার মৌলিক অধিকার নেই। যে কোনও সরকারের প্রধান দায়িত্ব সীমান্ত সুরক্ষিত রাখা, অনুপ্রবেশ রোখা এবং নাগরিকদের জীবন নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখা। স্বাধীন ভারত জম্মু ও কাশ্মীরে সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। স্বাধীনতা ও দেশভাগের সময় অসম নিয়েও সমস্যা তৈরি করেছিল পাকিস্তান। কাশ্মীরের মতোই অসমেরও স্বাধীন ভারতের অঙ্গ হওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয় পাকিস্তান।’
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
স্বাস্থ্য
জেলার
ক্রিকেট
জেলার
Advertisement