এক্সপ্লোর
Advertisement
দূষণরোধে শব্দবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা, আজানের ওপর নয় কেন? মন্তব্য করে বিতর্কে তথাগত রায়
আগরতলা: দিওয়ালিতে শব্দদূষণ রোধে শব্দবাজির ওপর যদি নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়, তাহলে মাইকে ভোর সাড়ে চারটেয় আজান বাজানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয় কেন? টুইট করে মন্তব্য ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায়ের। তাঁর দাবি, প্রতিবছর দিওয়ালিতে শব্দদূষণের অজুহাত দেখিয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় সরকারের তরফে। কিন্তু দিওয়ালিতো বছরে দু একদিনের জন্যে হয়। সারাবছর ভোরবেলা যেভাবে মাইকে আজান বাজানো হয়, সেখানে কখনও কোনও আপত্তি তোলা হয় না কেন, প্রশ্ন তথাগতর। তিনি আরও বলেন কোরান বা হাদিসে কোথাও আজানের সময় লাউডস্পিকার ব্যবহার করতে হবে, এমন কোনও নির্দেশিকা নেই। মসজিদের মিনারের সামনে দাঁড়িয়ে আজান বলার রীতি আছে। সেইজন্যে মসজিদের ওপর মিনার রয়েছে। তাঁর দাবি, আজানের সময় মাইক ব্যবহার আসলে ইসলামবিরোধী।
Every Diwali fights start over noise pollution from crackers. A few days in a year. But no fight about Azaan over loudspeakers at 4.30 AM!
— Tathagata Roy (@tathagata2) October 17, 2017
Actually this silence of the 'secular' crowd over noise pollution by Azaan perplexes me. Loudspkrs are not prescribed in Quran or any Haadis — Tathagata Roy (@tathagata2) October 17, 2017
প্রসঙ্গত, মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগেই পশ্চিমবঙ্গ সরকার শব্দদূষণের দাবিতে শব্দবাজি ফাটানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সারা রাজ্যের ওপর। পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, রাত দশটা পর্যন্ত বাজি ফাটানো গেলেও, ৯০ ডেসিবেলের মাত্রা ছাড়াবে না সেই আওয়াজ। রাত দশটার পর কোথাও শব্দবাজি ফাটানো যাবে না। তারপরই তথাগতর এই বিতর্কিত পোস্ট। এএনআইকে এই প্রসঙ্গে এক সাক্ষাত্কার দিতে গিয়ে ত্রিপুরার রাজ্যপাল বলেন, তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ মানুষরা ছোটশিশু এবং হার্টের অসুখে আক্রান্ত মানুষের অসুবিধার অজুহাত দিয়ে প্রতিবছরই দিওয়ালির শুরুতে শব্দবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞার জন্যে জোর সওয়াল করেন। কিন্তু প্রতিদিন ভোরবেলা আজানের আওয়াজে যে শব্দদূষণ হয়, সেই নিয়ে কোনও প্রশ্ন করেন না। তথাগতর প্রশ্ন এধরনের দুমুখো নীতি কেন? এর আগেও অবশ্য একাধিকবার শব্দবাজির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মুখে খুলেছেন তথাগত। কারণ, এধরনের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তিনি মোটেই খুশি নন। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট বলেন, একজন হিন্দু হিসেবে আদালতের এই সিদ্ধান্তে তিনি অখুশি। তাঁর কথায় দিওয়ালি যেমন আলোর উত্সব, তেমনই বাজিরও উত্সব। প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর দেশের শীর্ষ আদালত দিল্লি এবং এনসিআর-এ পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বাজি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।The Muezzin is supposed to shout Aazan from the minarets,which is why the minarets are there! Use of loudspeakers,thus is contrary to Islam!
— Tathagata Roy (@tathagata2) October 17, 2017
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
জেলার
জেলার
জেলার
Advertisement