এক্সপ্লোর
Advertisement
উন্নাও গণধর্ষণ: চাপের মুখে গ্রেফতার বিজেপি বিধায়কের ভাই, তদন্তের জন্য গঠিত সিট, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
লখনউ: উন্নাও গণধর্ষণের ঘটনায় এখনও অভিযুক্ত বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিংহ সেনগারেরর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলেও চাপের মুখে শেষপর্যন্ত তাঁর ভাই জয়দীপ সিংহ ওরফে অতুল সিংহকে এদিন সাতসকালে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার নির্যাতিতার বাবাকে মারধরের ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতার ৫০ বছরের বাবার পুলিশ হেফাজতে রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, বিধায়ক ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন ১৮ বছরের এক তরুণী। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করার প্রতিবাদে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে সপরিবারে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। যদিও পুলিশ তাঁদের এই চেষ্টা ভেস্তে দেয়। এই ঘটনার আগেই অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করা হয়েছিল নির্যাতিতার বাবা পাপ্পু সিংহকে। গতকাল পুলিশ হেফাজতে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই নির্যাতিতার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় যে, বিধায়ককে বাঁচাতেই এভাবে পাপ্পুকে পুলিশ হেফাজতে মেরে ফেলা হয়েছে।
গত ৪ এপ্রিল পাপ্পুকে মারধর করা হয় বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু পরের দিন পাপ্পুকেই অস্ত্র আইনে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল পাপ্পুকে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত চারজন-সোনু, বাউয়া, বিনিত ও শৈলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন সাতসকালে রাজ্য পুলিশের প্রধানের নির্দেশে ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ বিধায়কের ভাইকে গ্রেফতার করে।
পুরো ঘটনা যে পুলিশ ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল, তার প্রমাণও প্রকাশ্যে এসেছে বলে দাবি। অভিযোগ, পাপ্পুকে মারধরের ঘটনায় পরিবারের হাতে লেখা অভিযোগপত্র ও তার ভিত্তিতে পুলিশ যে এফআইআর দায়ের করেছিল- এই দুটি নথি থেকেই সাফ হয়ে গিয়েছে পুলিশ বিধায়কের ভাইকে আড়াল করতে চেয়েছিল।
নির্যাতিতার পরিবারের লিখিত অভিযোগ বিধায়কের ভাই জয়দীপ সিংহ সহ আরও কয়েকজনের নাম ছিল। কিন্তু পুলিশ যে এফআইআর দায়ের করে তাতে বাকি অভিযুক্তদের নাম থাকলেও বাদ দেওয়া হয় বিধায়কের ভাইয়ের নাম।
গত বছরের জুন মাসে তাঁকে বিধায়ক তাঁর ভাইয়েরা ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে ওই তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টার পর পুরো ঘটনা জনসমক্ষে আসে। এরপরই তরুণীর বাবার মৃত্যু ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি দেয়। চাপের মুখে পড়ে মাখি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হয়।
যদিও পুরো ঘটনায় অস্বস্তি এড়াতে পারছে না রাজ্য সরকার। রাজ্য পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) আনন্দ কুমার জানিয়েছেন, ১৮ বছরের ওই তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তের জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। এডিজি আরও জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও কাউকে ক্লিনচিট দেওয়া হয়নি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
খবর
খবর
আন্তর্জাতিক
Advertisement