সন্ত্রাস ছেড়ে শান্তির পথে সামিল হতে পাকিস্তানকে বার্তা মোদীর
![সন্ত্রাস ছেড়ে শান্তির পথে সামিল হতে পাকিস্তানকে বার্তা মোদীর Walk Away From Terror To Walk The Path Of Peace With India Modi To Pakistan সন্ত্রাস ছেড়ে শান্তির পথে সামিল হতে পাকিস্তানকে বার্তা মোদীর](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2017/01/08122127/narendra-modi.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: আলোচনা চাইলে সন্ত্রাসের পথ ত্যাগ করতেই হবে পাকিস্তানকে। প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে এমনই বার্তা দিল ভারত। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানান, শান্তিপূর্ণ প্রতিবেশই তাঁর পছন্দ। তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের নিয়ে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে থাকা আমার স্বপ্ন। নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়িয়ে একত্রিত ও সৌহার্দ্যপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়া গঠন করা ভীষণ জরুরি। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে দ্বিতীয় ‘রাইসিনা ডায়লগ’ অনুষ্ঠানের সূচনা করতে গিয়ে তিনি যোগ করেন, ভারত একা শান্তির পথে চলবে, তা হতে পারে না। পাকিস্তানকেও একই পথে চলতে হবে। মোদীর আহ্বান, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা চাইলে পাকিস্তানকে হিংসা ও সন্ত্রাসের পথ থেকে বেরিয়ে আসতেই হবে। মোদী মনে করিয়ে দেন, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে বরাবরই শান্তি চেয়ে এসেছে ভারত। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে তিনি বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। এমনকী, তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে লাহোর-যাত্রাও করেন। কিন্তু, পঠানকোট, উরিতে পাক-মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের হামলার ফলে, সেই সম্পর্ক বরফ-শীতল হয়ে পড়ে। মোদী আরও জানান, ভারত কোনওদিন সন্ত্রাসবাদকে ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে দেয়নি। ভারত কখনই ভাল ও খারাপ সন্ত্রাসের মধ্যে পার্থক্য করেনি। এখন সারা বিশ্ব সেই তত্ত্বই অনুসরণ করছে। নাম না করে পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, যারা হিংসা, ঘৃনা, সন্ত্রাস পাচার করছে, বিশ্বে আজ তারা ‘একা’ হয়ে পড়েছে। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একাধিক কারণে নানা স্তরে গোটা বিশ্ব গভীর বদলের মধ্যে এগচ্ছে। আমরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছি, সেগুলির বিস্তারে বড় ভূমিকা রয়েছে রাষ্ট্র-বিরোধী শক্তিগুলির। পাকিস্তানের পাশাপাশি এদিন চিন সম্পর্কেও নিজের মতামত ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দুই প্রতিবেশি বৃহৎ রাষ্ট্রের মধ্যে কিছু জায়গায় মতানৈক্য থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু, উভয়ের উচিত পারস্পরিক উদ্বেগ ও স্বার্থের বিষয়গুলিকে সম্মান করা এবং একে অপরের প্রতি সংবেদনশীল হওয়া। মোদী বলেন, আমি ভারত ও চিনের উত্থানকে এক অভূতপূর্ব সুযোগ হিসেবে দেখি। এটা যেমন দুই দেশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তেমনই বিশ্বের ক্ষেত্রেও। প্রধানমন্ত্রীর মতে, ভারতের যেমন গোটা বিশ্বকে দরকার, তেমনই গোটা দুনিয়ার স্বার্থেই ভারতের উত্থান হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের দেশ বদলের চাহিদার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য যোগ রয়েছে বাকি বিশ্বের।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)