বাংলাদেশে চিনা প্রভাব ঠেকাতে ঢাকা সফরে পর্রীকর
নয়াদিল্লি: বাংলাদেশের ওপর ক্রমবর্ধমান চিনা প্রভাবের পাল্টা হিসেবে এবার প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভারত।
খবরে প্রকাশ, আগামী ৩০ নভেম্বর, দুদিনের ঢাকা সফরে যাচ্ছেন প্রতিরক্ষমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর। জানা গিয়েছে, সফরে হাসিনা প্রশাসনের সঙ্গে নতুন প্রতিরক্ষা কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
এর মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ বৃদ্ধি যেমন থাকবে, তেমনই প্রযুক্তি হস্তান্তর, যৌথ প্রশিক্ষণ ও মহড়ার এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গভীর সহযোগিতা আলোচ্যসূচিতে ঠাঁই পাবে।
কেন্দ্রীয় সূত্রের মতে, নতুন চুক্তি আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রস্তাবিত ভারত সফরের সময় বাস্তবায়িত হবে। এদিকে, পর্রীকরের এই সফর আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সম্প্রতি, চিনের থেকে দুটি ডিজেল-ইলেক্ট্রিক চালিত সাবমেরিন পেয়েছে ঢাকা। প্রথমটি গত সোমবার এসে পৌঁছেছে। প্রসঙ্গত, এটিই বাংলাদেশের প্রথম ডুবোজাহাজ। দ্বিতীয়টি আগামী বছর আসবে।
এই প্রেক্ষিতে, ভারতীয় মহাসাগর অঞ্চলে চিনা উপস্থিতির বৃদ্ধি পাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। কারণ, শ্রীলঙ্কা থেকে শুরু করে মালদ্বীপ, সেশেলস, মরিশাস পর্যন্ত এবং অন্যদিকে বাংলাদেশ ও মায়ানমারেও নিজেদের উপস্থিতি বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে চিন।
তার পাল্টা হিসেবে শ্রীলঙ্কার সামরিক শক্তিকে শক্তিশালী করতে একগুচ্ছ সমরাস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে এয়ার ডিফেন্স গান, রেডার, মাইন প্রোটেক্টেড ভেহিকল (এমপিভি) দিচ্ছে নয়াদিল্লি।
একইভাবে, এবার বাংলাদেশ নৌসেনার জন্য অফশোর প্যাট্রল ভেসেল (ওপিভি) দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে ভারত। পাশাপাশি, এদেশের সামরিক প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি সেনা জওয়ানদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থার কথাও ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, এই মুহূর্তে ভারত ও বাংলাদেশের জওয়ানরা যৌথ মহড়া চালাচ্ছে ঢাকায়।