শারীরিক সম্পর্ক চেয়েছে পুলিশ, অভিযোগ তোলা মহিলাকেই জেলে পাঠাল আদালত
নয়াদিল্লি: পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের দাবি করার অভিযোগ আনা ‘ধর্ষিতাকে’ জালিয়াতির জন্য জেলে পাঠাল আদালত। একইসঙ্গে হাজতে পাঠানো হল তাঁর পুরুষ-সঙ্গীকেও।
সম্প্রতি, ওই মহিলা থানায় গণধর্ষণের অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, তদন্ত করে দেখার আগে তাঁকে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে বলে শর্ত দিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার (আইও)!
পুলিশে মহিলা দাবি করেন, গত ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই মহিলা এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে রামপুর শহরে ফিরছিলেন। রাস্তায় দুজন তাঁকে গাড়িতে পৌঁছে দিতে এগিয়ে আসে।
মহিলার দাবি, ওদের একজন আবার তাঁর পরিচিত। ওরা তাঁকে বাড়িতে নামিয়ে দেয়। কিন্তু তাঁর বাড়িতে আর কেউ নেই, তিনি একা, বুঝতে পেরে বন্দুক ঠেকিয়ে মহিলা ধর্ষণ করে দুজন।
মহিলার আরও দাবি, তিনি রামপুরের গঞ্জ থানায় ধর্ষণকারীদের গ্রেফতারি চাইতে গেলে তাঁকে এসআই জয় প্রকাশ সিংহ আগে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে বলে শর্ত দেন। তিনি থানায় গেলেই তাঁকে একই কথা বলতেন তিনি।
এমনকী তাঁর মোবাইলে ফোন করে তাঁকে একা তার ঘরে দেখা করতেও বলেন। তিনি রাজি না হওয়ায় মামলার ক্লোজার রিপোর্ট জমা দেন ওই এসআই। মহিলার দাবি, তিনি এরপর লুকিয়ে তাঁর সঙ্গে পুরো কথোপকথন ফোনে রেকর্ড করে রাখেন। প্রমাণ সমেত তিনি দেখা করেন পুলিশ সুপারের সঙ্গে।
জেলা এসপি বিপিন টাডা জানান, এই ঘটনায় তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মহিলা মিথ্যে বলছেন। তিনি বলেন, মহিলা যে কথোপকথনের সিডি দিয়েছিলেন, তাতে যে পুরুষকণ্ঠের গলার স্বরের নমুনা রয়েছে, তার সঙ্গে আইও-র গলার কোনও মিল নেই।
এরপরই, তদন্তে নেমে পুলিশ ওই মহিলার এক পুরুষ বন্ধুর সন্ধানও পায়। জানা যায়, পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে দুজনে মিলে চক্রান্ত করেছেন। মহিলা ও তাঁর পুরুষ বন্ধুর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। আদালতে পেশ করা হলে, বিচারক দুজনকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন।
পাশাপাশি, পুলিশ নির্দেশ দিয়েছে এই মহিলা আগে কোথায় কবে পৃথক ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছে, তার পুনর্তদন্ত করে দেখতে।