উপ-নির্বাচনে হারের পর দুর্নীতি-রোধ পোর্টাল চালু, চার লক্ষ চাকরির ঘোষণা আদিত্যনাথের
লখনউ: ক্ষমতার এক বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষ্যে নতুন ঘুষ-বিরোধী পোর্টাল চালু করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর ঘোষণা, খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে প্রায় ৪ লক্ষ কর্মীনিয়োগ হবে।
সদ্য ফল প্রকাশিত হওয়া রাজ্যের ২টি লোকসভা কেন্দ্রের উপ-নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। দুটি কেন্দ্রেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। আর কেন্দ্র দুটি হল মুখমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশব মৌর্যর খালি করা আসন।
ফলে, চাপ যে বাড়ছিল যা ভালই টের পাচ্ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। তাই, মানুষের মনে তৈরি হওয়া ক্ষোভ প্রশমণ করতে এবং একইসঙ্গে বিরোধী শিবিরকে ছত্রভঙ্গ করতে উদ্যোগী হলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আর সেই লক্ষ্যেই, একদিকে যেমন দুর্নীতি-রোধ পোর্টাল চালু করা হল, তেমনই রাজ্যের যুবকদের জন্য সরকারি চাকরির ডালি নিয়ে এলেন তিনি।
এদিন রাজ্যপাল রাম নায়েক ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের উপস্থিতিতে লোকভবনে এই পোর্টালের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই পোর্টালের ফলে, যে কোনও শ্রেণির আধিকারিক, যিনি দুর্নীতিতে যুক্ত বা তাতে মদত দিচ্ছেন, ছাড় পাবেন না। তিনি যোগ করেন, অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও ছবি বা ভিডিও পোস্ট করলে, দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
পাশাপাশি, তিনি জানান, রাজ্যের ৬৪টি দফতরে চার লক্ষ চাকরির সুযোগ রয়েছে। এই তালিকায় পুলিশ কনস্টেবল থেকে শুরু করে সাব-ইন্সপেক্টর, বিডিও থেকে রাজস্ব আধিকারিক রয়েছে। আদিত্যনাথ জানান, অতীতে রাজ্যের পাবলিক সার্ভিস কমিশনে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এমনকী, অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশ নিয়োগের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে বাধ্য হয় সুপ্রিম কোর্ট।
এপ্রসঙ্গে, এদিন পূর্বতন সরকারকে আক্রমণ করতেও ছাড়েননি আদিত্যনাথ। তাঁর দাবি, একটা সময়ে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই ছিল না। কিন্তু এখন একটা পরিবর্তন এসেছে। তাঁর কটাক্ষ, আগে জনটুকলির জন্য বরাত দেওয়া হতো। কিন্তু, স্বচ্ছ পরীক্ষা চালু করতেই ১২ লক্ষ ভুয়ো পরীক্ষার্থী বেরিয়ে গেল। ৭৫ শতাংশই ছিল ‘মুন্নাভাই’ (অন্যের হয়ে পরীক্ষা দেওয়া)। ৩০ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।