New Barrackpore Fire:এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি নিউ ব্যারাকপুরর কারখানার আগুন, হদিশ মেলেনি চার নিখোঁজ শ্রমিকের
বুধবার রাত ৩টে নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের তালবান্দা শিল্পতালুকের এই কারখানা ও গুদামে আগুন লাগে। তিনতলা বাড়িটির একদিকের অংশে গেঞ্জির কারখানা। অন্য একটি অংশে তিনতলা জুড়ে ছিল গুদাম।
উত্তর ২৪ পরগনা: ২৯ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিউ ব্যারাকপুরের কারখানার আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। আজ সকালেও দমকলকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছেন। কারখানার নিখোঁজ চার শ্রমিকেরও এখনও হদিশ মেলেনি। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে দমকলকর্মীরা কারখানার ভিতরে গিয়ে শ্রমিকদের খোঁজ করবেন বলে সূত্রের খবর। বুধবার রাত ৩টে নাগাদ উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুরের তালবান্দা শিল্পতালুকের এই কারখানা ও গুদামে আগুন লাগে। তিনতলা বাড়িটির একদিকের অংশে গেঞ্জির কারখানা। অন্য একটি অংশে তিনতলা জুড়ে ছিল গুদাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, গুদামে ওষুধ ছাড়াও স্যানিটাইজার, অ্যান্টিসেপটিক, ডায়পারের মতো দাহ্যবস্তু মজুত ছিল।তার থেকেই আগুন এতটা ভয়াবহ চেহারা নিয়েছে বলে মনে করছে দমকল। আগ্নের গ্রাসে চলে গিয়েছে তিনতলা কারখানা ও গুদাম। রাত থেকে বিকেল...বিকেল থেকে রাত....। রাত থেকে সকাল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লড়াই চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।আগুন নেভাতে কাজে লাগানো হয় রোবটও।কিন্তু, তারপরেও কারখানার কয়েকজন কর্মীর মৃত্যুর আশঙ্কা।
বুধবার রাত তখন তিনটে।উত্তর চব্বিশ পরগনার নিউ ব্যরাকপুর থানার তালবান্দা শিল্পতালুকের এই কারখানা ও গুদামে আগুন লাগে। স্থানীয় সূত্রে খবর, তখন কারখানার মধ্যে চার জন শ্রমিক ছিলেন।
তিন তলা বাড়িটির, একদিকের অংশে ছিল গেঞ্জির কারখানা। অন্য একটি অংশে তিনতলা জুড়ে ছিল গুদাম। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই গুদামে ওষুধ ছাড়াও, স্যানিটাইজার, অ্যান্টিসেপ্টিক, ডায়পারের মতো দাহ্য বস্তু মজুত করা ছিল। আর তাতেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে মনে করছে দমকল বিভাগ। আগুন লাগার কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ইঞ্জিন। কিন্তু, ততক্ষণেই আগুন ভয়ঙ্কর আকার নেয়। কারখানার কয়েকটি লোহার গেট কাটা হয়। কিন্তু আগুনের হলকায়, ভিতরে ঢুকতে পারেননি দমকলকর্মীরা।
আগুন নেভাতে যেখানে দমকলকর্মীরা পৌঁছতে পারবেন না, সেখানে পৌঁছনোর জন্য দমকল বিভাগ রোবট কিনেছে। এখানে আগুন নেভাতে আনা হয় সেই রোবট। কিন্তু আগুন এতটাই ভয়াবহ রূপ নেয়, যে বিকল হওয়ার আশঙ্কায়, রোবটকেও ভিতরে পাঠানোর সাহস পানননি দমকলকর্মীরা। বাইরে থেকেই সেটাকে কাজে লাগানো হয়।
রাত থেকেই আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যান দমকলকর্মীরা। কিন্তু, বেলা যত গড়াতে থাকে, তিন তলা বাড়িটায় ততই ছড়িয়ে পড়তে থাকে আগুন।ধোঁয়া বের করে আগুন নেভানোর কাজে গতি আনতে, শেষপর্যন্ত বুলডোজার দিয়ে কারখানার পিছনের দেওয়াল ভাঙা হয়। সেই বুলডোজারের উপরে দাঁড়িয়েই আগুন নেভাতে থাকেন দমকলকর্মীরা।