Suvendu Adhikari Update: নন্দীগ্রাম কো-অপারেটিভে শুভেন্দু-অনুগামী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব পাশ
মেঘনাদ পালের বিরুদ্ধে অনাস্থাপ্রস্তাব পাশ। নন্দীগ্রাম কো-অপারেটিভ মার্কেটিং সোসাইটির চেয়ারম্যান তথা শুভেন্দু-অনুগামী মেঘনাদ পালের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা।
বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম (পূর্ব মেদিনীপুর) : বিধানসভা নির্বাচনপর্বে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এহেন মেঘনাদ পালের বিরুদ্ধে এবার অনাস্থাপ্রস্তাব পাশ। নন্দীগ্রাম কো-অপারেটিভ মার্কেটিং সোসাইটির চেয়ারম্যান তথা শুভেন্দু-অনুগামী মেঘনাদ পালের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছিলেন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা। এনিয়ে এলাকায় তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজনৈতিক কারণে এই অনাস্থা বলে মত মেঘনাদ পালের।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারের পর একের পর এক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। একাধিক প্রধান, উপ প্রধান থেকে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষকে অনাস্থা এনে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ আবার দলীয় নির্দেশ মেনে পদত্যাগও করেছেন। বাদ যাননি রাজ্যের মন্ত্রী শিউলি সাহার মা-ও। এই প্রেক্ষাপটে নন্দীগ্রাম কো-অপারেটিভ মার্কেটিং সোসাইটির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরাতে শুক্রবার মেঘনাদ পালের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসেন বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা। মোট ১০ জন সদস্যের মধ্যে ৭-৩ ব্যবধানে অনাস্থা পাশও হয়ে যায়।
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন সমবায় ব্যাঙ্কে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁরই লড়াইয়ের ময়দান নন্দীগ্রামের কো -অপারেটিভ মার্কেটিং সোসাইটির চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা নিয়ে আসা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, এই মেঘনাদ পাল বিধানসভা নির্বাচনপর্বে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তার পর নন্দীগ্রাম প্রেস্টিজ ফাইটের কথা তো সবারই জানা। আজ তিন অনুপস্থিত সদস্যের মধ্যে মেঘনাদ ছাড়াও রয়েছেন তারাপদ খাটুয়া ও দিলীপ দাস। এই পরিস্থিতিতে আজ ৭-৩ ব্যবধানে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে যায়। তবে মেঘনাদের দাবি, তিনি রাজনীতির শিকার হয়েছেন। যেহেতু দল পরিবর্তন করেছেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে এই অনাস্থা নিয়ে আসা হয়েছে।
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, দুর্নীতিপরায়ণ, স্বজন-পোষণ সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে ওঁর বিরুদ্ধে, তাই এই পদক্ষেপ।
অন্যদিকে এই ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি।