এক্সপ্লোর
অনুমোদন না নিয়েই সিএএ-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বিজয়ন সরকার, ‘প্রটোকল ভেঙেছে’, ‘রাবার স্ট্যাম্প নই’! ক্ষোভ কেরলের রাজ্যপালের
নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে কেরল বিধানসভায় প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার দুসপ্তাহ বাদে বিজয়ন সরকার গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দিয়ে বলে, সংসদে পাশ আইনটি সংবিধান, তার মৌলিক কাঠামো ও দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিসমূহের পরিপন্থী, লঙ্ঘনকারী বলে ঘোষণা করুক সর্বোচ্চ আদালত। দেশের মধ্যে এই প্রথম কোনও রাজ্য সরকার সিএএ-র সর্বাত্মক বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গেল।
![অনুমোদন না নিয়েই সিএএ-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বিজয়ন সরকার, ‘প্রটোকল ভেঙেছে’, ‘রাবার স্ট্যাম্প নই’! ক্ষোভ কেরলের রাজ্যপালের Not just a rubber stamp: Kerala Governor expresses dismay after state moves SC against CAA without his nod অনুমোদন না নিয়েই সিএএ-র বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে বিজয়ন সরকার, ‘প্রটোকল ভেঙেছে’, ‘রাবার স্ট্যাম্প নই’! ক্ষোভ কেরলের রাজ্যপালের](https://static.abplive.com/wp-content/uploads/sites/3/2020/01/16085345/arif-1.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
নয়াদিল্লি: তাঁকে না জানিয়ে, তাঁর অনুমোদন না নিয়েই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে কেরল সরকার পিটিশন দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। কেরলের ক্ষমতাসীন পিনারাই বিজয়নের বাম সরকার ‘প্রটোকল ভেঙেছে, সৌজন্যের পরিচয় দেয়নি’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। বলেছেন, রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে এই আইনকে চ্যালেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত তাঁকে সংবাদপত্র পড়ে জানতে হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই আরিফকে উদ্ধৃত করে বলেছে, ওদের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ায় আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ওদের আগে আমায় জানানো উচিত ছিল। সাংবিধানিক প্রধান হয়েও আমায় জানতে হচ্ছে সংবাদপত্র থেকে। পরিষ্কার বলছি, আমি রাবার স্ট্যাম্প নই।
নতুন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বাতিলের দাবিতে কেরল বিধানসভায় প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার দুসপ্তাহ বাদে বিজয়ন সরকার গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দিয়ে বলে, সংসদে পাশ আইনটি সংবিধান, তার মৌলিক কাঠামো ও দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতিসমূহের পরিপন্থী, লঙ্ঘনকারী বলে ঘোষণা করুক সর্বোচ্চ আদালত। দেশের মধ্যে এই প্রথম কোনও রাজ্য সরকার সিএএ-র সর্বাত্মক বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে গেল।
কিন্তু আরিফ স্পষ্ট বলছেন, এটা প্রটোকল বিরোধী, সৌজন্যের সীমা ছাড়িয়েছে। রাজ্য সরকার রাজ্যপালের সম্মতি ছাড়া সুপ্রিম কোর্ট যেতে পারে কিনা, আমি খতিয়ে দেখব। সম্মতি না নিক, অন্তত আমায় অন্তত জানাতে পারত ওরা।
প্রসঙ্গত, কেরলের রাজ্যপাল ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার নতুন নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। গত মাসে তাঁকে এজন্য কান্নুরে ভারতীয় ইতিহাস কংগ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিছু পড়ুয়া, প্রতিনিধিদের প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়েছিল।
ইতিহাস কংগ্রেসের অস্থায়ী সভাপতি ইরফান হাবিব সহ বেশ কয়েকজন তাঁর বিরোধিতা করেন। পরে আরিফ ট্যুইট করেন, ইরফান হাবিব মঞ্চে উঠে রাজ্যপালের মৌলানা আবদুল কালাম আজাদকে উদ্ধৃত করার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তুলে উদ্বোধনী ভাষণ বানচালের চেষ্টা করেন। গডসেকে উদ্ধৃত করুন, বলে চিত্কার করেন। তাঁর অশোভন আচরণে বাধা দিতে গেলে রাজ্যপালের এডিসি, নিরাপত্তা অফিসারকে ধাক্কা দেন হাবিব।
কেরল সরকার সংবিধানের ১৩১ অনুচ্ছেদের আওতায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। কেন্দ্র ও একটি রাজ্যের মধ্যে কোনও বিতর্ক হলে, একদিকে কেন্দ্র ও একটি রাজ্য, আরেকদিকে অন্য একটি রাজ্যের বিরোধ হলে, দুই বা ততোধিক রাজ্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলে এই অনুচ্ছেদে সুপ্রিম কোর্টের মীমাংসা করার এক্তিয়ার আছে এই অনুচ্ছেদে।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
আইপিএল
জেলার
খবর
ব্যবসা-বাণিজ্যের
Advertisement
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)