ওড়িশায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর গাড়ি ওভারটেক করায় আটক কলকাতার ছয় পর্যটককে
সন্তোষ জানিয়েছেন, বস্তার কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যাওয়ার সময় আমরা সাইরেনের আওয়াজ শুনি। ভেবেছিলাম অ্যাম্বুলেন্স হতে পারে এবং এজন্য ওই গাড়িকে এগিয়ে যেতে দিই। কিন্তু পরে জানতে পারে, ওই গাড়ি মন্ত্রীর, ওই গাড়ির সুরক্ষার জন্য ছিল একটি পাইলট কার। কিছুক্ষণ পর পাইলট কার কাঁচা সড়কে চলে গেলে আমি ওই গাড়ি ওভারটেক করি।
বস্তা, ওড়িশা: ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতাপ চন্দ্র সারঙ্গীর গাড়ি ওভারটেক করায় ওড়িশায় আটক করা হয় ছয় পর্যটককে। তাঁদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে দ্বিতীয়বার এ ধরনের ভুল না করার লিখিত প্রতিশ্রুতিও আদায় করা হয়। এরপর তাঁদের থানা থেকে ছাড়া হয়। গতকাল রবিবার এই ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার বালেশ্বরের পঞ্চলিঙ্গেশ্বর থেকে স্ত্রী, ভাই ও দুই শিশু সন্তান সহ দুটি গাড়িতে করে কলকাতায় ফিরছিলেন সন্তোষ সাউ।
সন্তোষ জানিয়েছেন, বস্তার কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যাওয়ার সময় আমরা সাইরেনের আওয়াজ শুনি। ভেবেছিলাম অ্যাম্বুলেন্স হতে পারে এবং এজন্য ওই গাড়িকে এগিয়ে যেতে দিই। কিন্তু পরে জানতে পারে, ওই গাড়ি মন্ত্রীর, ওই গাড়ির সুরক্ষার জন্য ছিল একটি পাইলট কার। কিছুক্ষণ পর পাইলট কার কাঁচা সড়কে চলে গেলে আমি ওই গাড়ি ওভারটেক করি।
কিন্তু মন্ত্রীর পাইলট কার পশ্চিমবঙ্গের সীমা জলেশ্বরের লোকনাথ টোল গেট পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার পর্যন্ত সন্তোষদের গাড়ির পিছু ধাওয়া করে। এরপর তাঁদের পাঁচ ঘণ্টা হেফাজতে রাখা হয়।
উল্লেখ্য, সমীক্ষা বৈঠকের জন্য বস্তাতে ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বস্তা থানাক আইআইসি অশোক নায়েক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ওই দুটি গাড়ি ওভারটেক করে যাওয়ার পর মন্ত্রী পাইলট কারকে তাঁদের ধরে নিয়ে আসতে বলেন। পাইলট কার ওই দুটি গাড়ি ধরে এবং বস্তা থানায় নিয়ে আসে। এরপর মোটর ভেহিকেল আইন অনুযায়ী, মামলা দায়ের করা হয় এবং তাঁদের পিআর-এ ছেড়ে দেওয়া হয়। দ্বিতীয়বার এ ধরনের ভুল না করার লিখিত প্রতিশ্রুতিও তাঁদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।
সন্তোষ বলেছেন, আমাদের মন্ত্রীর গাড়ির কাছে যাওয়া উচিত হয়নি। এটা আমাদের ভুল হয়েছিল। জানা ছিল না যে, মন্ত্রীর গাড়ি ওভারটেক করা নিষেধ।