(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Odisha Train Accident: লোক না থাকায় কাজের চাপ বেশি, বালেশ্বর থেকে শিক্ষা নিয়ে রেলকর্মীদের কাউন্সেলিং করানোর সিদ্ধান্ত
Indian Railways: রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনের ম্যানেজার এবং সেকশন কন্ট্রোলারদের এবার কাউন্সেলিং করা হবে।
বালেশ্বর: করমণ্ডল এক্সপ্রেসে ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর, এবার সমস্ত স্টেশন ম্য়ানেজার, সেকশন কন্ট্রোলার এবং পয়েন্টসম্য়ানদের কাউন্সেলিং করানোর পরিকল্পনা (Indian Railways) বাহানাগা বাজারে ট্রেন দুর্ঘটনার পর, রেলের কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের প্রসঙ্গ উঠে আসে। অভিযোগ ওঠে, কর্মী কম থাকায় চাপ বাড়ছে অন্যদের। এই অবস্থায় নিয়ম করে কাউন্সেলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে (Odisha Train Accident)।
নিয়ম করে কাউন্সেলিংয়ের সিদ্ধান্ত
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনের ম্যানেজার এবং সেকশন কন্ট্রোলারদের এবার কাউন্সেলিং করানো হবে। সমস্ত জোনের স্টেশন ম্যানেজার এবং পয়েন্টসম্যানদেরও আনা হবে এর আওতায়। বাহানাগা বাজারে ট্রেন দূর্ঘটনার পরে রেলের কর্মীদের অতিরিক্ত কাজের প্রসঙ্গ উঠে আসে। জানা যায়, কর্মীর সংখ্যা কম থাকায় চাপ বাড়ছে অন্যদের উপর। এই অবস্থায় নিয়ম করে কাউন্সেলিংয়ের সিদ্ধান্ত।
ওড়িশার বালেশ্বরে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার পর এক সপ্তাহের বেশি কেটে গেলেও, নেপথ্য কারণ নিয়ে ধন্দ কাটেনি এখনও পর্যন্ত। জানা যাচ্ছে, করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে ছাড়ার জন্য় লুপ লাইনে আধঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল মালগাড়িকে। তার পরও কী করে মেন লাইন ছেড়ে লুপ লাইনে ঢুকে গেল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস, এই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজছে সিবিআই এবং রেল।
আরও পড়ুন: Jharkhand News:অবৈধভাবে কয়লা কাটতে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঝাড়খন্ডে, মৃত্যু ২ মহিলা-সহ ৪ জনের
সূত্রের খবর, ২ জুন অভিশপ্ত সেই শুক্রবার, সন্ধে ৬টা ২৫ মিনিটে লুপ লাইনে পাঠিয়ে দেওয়া হয় মালগাড়িটিকে। করমণ্ডল এক্সপ্রেসের জন্য়ই খালি করা হয় মেনলাইন। লুপ ও মেন লাইনের আলাদা সিগন্য়াল। রেল সূত্রে খবর, সেই সময় মেন লাইনের সিগন্য়াল সবুজ ছিল। লুপ লাইনের লাল। তা সত্ত্বেও কীভাবে ট্র্য়াক পাল্টে লুপে ঢুকে গেল আপ করমণ্ডল? যেখানে মালগাড়িটি দাঁড়িয়ে ছিল, তার খুব কাছেই প্য়ানেল রুম। তা সত্ত্বেও কীভাবে এতবড় বিপর্যয়? পুরো বিষয়টির দায়িত্বে থাকা, সিগন্য়াল এবং টেলিকম কমিউনিকেশনকে চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ।
চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ
বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলেছেন, রেল দুর্ঘটনার নেপথ্য়ে অনেকাংশেই দায়ী বিপুল সংখ্যক শূন্য়পদ। রেলে খালি রয়েছে তিন লক্ষের বেশি পদ। গত কয়েক বছরে হু হু করে কমছে রেলে স্থায়ী কর্মীর সংখ্যা। ফলে অতিরিক্ত চাপ বাড়ছে কর্মীদের।
এই অবস্থায় নিয়ম করে ট্রেন ম্য়ানেজার, সেকশন কন্ট্রোলার, স্টেশন ম্য়ানেজার, এবং পয়েন্টসম্য়ানদের কাউন্সেলিং করার পরিকল্পনা নিয়েছে রেল বোর্ড।