শ্বাসকষ্টে মৃত্যু বৃদ্ধের, রাতভর বাড়ির সামনে পড়ে দেহ, আতঙ্ক ধূপগুড়িতে
ছেলে আক্রান্ত করোনায়। শ্বাসকষ্টে মৃত্যু বাবার। আর তাই আতঙ্কে কাছে এল না প্রতিবেশীরা।
ধূপগুড়ি: ছেলে আক্রান্ত করোনায়। শ্বাসকষ্টে মৃত্যু বাবার। আর তাই আতঙ্কে কাছে এল না প্রতিবেশীরা। ধূপগুড়িতে রাতভর বাড়ির সামনে পড়ে রইল বৃদ্ধের মৃতদেহ। অভিযোগ, প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও কোনও সাড়া মেলেনি।
করোনা পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর, ভয়াবহ। গঙ্গায় ভেসে আসা শতাধিক মৃতদেহের ছবি হাড় হিম করে দেয়। বাড়িতেই পড়ে থেকে মৃত্যু হচ্ছে অসংখ্য করোনা রোগীর। তারপর সেই দেহ নিয়ে যেতেও অনেক ক্ষেত্রে কেটে যাচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এবার দেহ উদ্ধারে দেরির অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত থেকে হঠাৎই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ওই বৃদ্ধের। এরপর বাড়ির সামনেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে দিন সাতেক আগে করোনা আক্রান্ত। বৃদ্ধের মৃত্যু হলেও আতঙ্কে ধারে কাছে ঘেঁষলেন না প্রতিবেশীরা। করোনা আবহে বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যুকে ঘিরে গোটা এলাকা জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সত্তোরর্ধ্ব পঞ্চানন ঘোষের আগে থেকেই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। তাঁর ছেলে সাতদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হন। পরিবারসূত্রে দাবি, বুধবার গভীর রাতে শ্বাসকষ্টের কারণে মৃত্যু হয় বৃদ্ধের। তাঁর কোভিড পরীক্ষা হয়নি। কিন্তু বৃদ্ধের ছেলে করোনা আক্রান্ত বলে প্রতিবেশীরা সন্দেহের বশে কেউ এগিয়ে আসেননি। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে বাড়ির উঠোনে মৃতদেহ নিয়ে বসে ছিলেন তাঁর স্ত্রী। সকাল ১০টা নাগাদ স্থানীয় তৃণমূল ও বাম নেতারা বাড়িতে যান। পরিবারের অভিযোগ, পুরসভাকে খবর দেওয়া হলেও বুধবার গভীর রাত থেকে বেশ কয়েক ঘণ্টা দেহ পড়ে ছিল বাড়িতে। এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ধূপগুড়ি পুরসভার গাড়ি এসে দেহ সত্কারের জন্য নিয়ে যায়।
যদিও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, সময়মতো তাদের জানানো হয়নি। ধূপগুড়ি পুরসভার সহ সভাপতি রাজেশ সিংহ বলেন, আজ সকাল ৮টা নাগাদ পরিবার যোগাযোগ করে। আমরাই উদ্যোগ নিয়ে গাড়ি পাঠাই। আমাদের সময়মতো জানানো হয়নি। নাহলে দেহ পড়ে থাকবে, এরকম ঘটনা ঘটে না।