Vaccination in India : ভারতে হদিশ মেলা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৮০ শতাংশ কার্যকর অক্সফোর্ড, ফাইজারের ভ্যাকসিন; বলছে গবেষণা
করোনার B1.617.2 ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা ফাইজার ভ্যাকসিন। এই দুটির মধ্যে যে কোনও একটির দুটি ডোজ নিলেই তা উপরোক্ত ভ্যারিয়েন্ট রুখতে ৮০ শতাংশের বেশি কার্যকর হবে। বলছে ইংল্যান্ডের গবেষণা।
লন্ডন : করোনার B1.617.2 ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকরী অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা ফাইজার ভ্যাকসিন। এই দুটির মধ্যে যে কোনও একটির দুটি ডোজ নিলেই তা উপরোক্ত ভ্যারিয়েন্ট রুখতে ৮০ শতাংশের বেশি কার্যকর হবে। ইংল্যান্ডে নতুন এক গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।
অক্সফোর্ড/অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজের ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড ভারতে তৈরি করে সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এর প্রয়োগ করা হচ্ছে। ইংল্যান্ডের গবেষণা বলছে, ইংল্যান্ডের কেন্ট এলাকায় প্রথম পাওয়া যায় করোনার B.117 ভ্যারিয়েন্ট। যার সংক্রামক ক্ষমতা প্রচুর। এই ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও ৮৭ শতাংশ কার্যকর এই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ। পাবলিক হেল্থ ইংল্যান্ড(PHE)-এর তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই গবেষণা।
'The Telegraph'-এর খবর অনুযায়ী, নতুন এই গবেষণার তথ্য চলতি সপ্তাহে সরকারের নিউ অ্যান্ড এমার্জিং রেসপিরেটরি ভাইরাস থ্রেটস অ্যাডভাইসরি গ্রুপ-এর মিটিংয়ে উপস্থাপিত করা হয়।
এদিকে PHE যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে চলতি সপ্তাহে, সেই অনুযায়ী, এখানে B1.617.2 ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণের সংখ্যা গত সপ্তাহে ২ হাজার ১১১ থেকে বেড়ে ৩ হাজার ৪২৪-এ পৌঁছেছে।
এদিকে "ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট" ব্যাখ্যায় আপত্তি জানিয়েছে ভারত সরকার। সব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মকে এমন পোস্ট সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে যাতে B.1.617 ভ্যারিয়েন্টকে "ভারতীয়" বলা হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, ভুল তথ্য ছড়ানো আটকাতেই এই পদক্ষেপ। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে এই মর্মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের ওই স্ট্রেনকে "ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট" বলা ভিত্তিহীন। কারণ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা(WHO) এটাকে সেভাবে ব্যাখ্যা করেনি।
তবে, গত ১১ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের ওই ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত করা হয়েছিল ভারতে। গোটা বিশ্বের কাছে এই ভ্যারিয়েন্ট উদ্বেগের।
মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে বলে একটা মিথ্যা তথ্য অনলাইনে প্রচার হচ্ছে। এই বিষয়টি গত ১২ মে প্রেস বিবৃতি দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে।