Pakistan Earthquake : এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান, দেশজুড়ে কম্পন অনুভূত
Earthquake News: রবিবারই, ৪.৪ মাত্রায় কেঁপে উঠেছিল খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াত ও তার আশপাশের এলাকা।

করাচি : পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর থেকে ভারতের আতঙ্কে কাঁপছে পাকিস্তান। ভয়ে কিছু অংশে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এরই মধ্যে এবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পাকিস্তান। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪.৪। ভারতীয় সময় রাত ৯টা ৫৮ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। রবিবারই, ৪.৪ মাত্রায় কেঁপে উঠেছিল খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াত ও তার আশপাশের এলাকা। পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকা কেঁপে ওঠে। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, ভূতাত্ত্বিক ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ রেহানের মতে, পাকিস্তান তিনটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের উপর অবস্থিত - আরব, ইউরো-এশীয় এবং ভারতীয় - যা দেশের অভ্যন্তরে পাঁচটি ভূমিকম্প অঞ্চল তৈরি করে।
জাতীয় ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য তুলে ধরে একটি বেসরকারি সংবাদ চ্যানেল জানিয়েছিল, রবিবার ৪.৪ মাত্রার ভূমিকম্পটি সোয়াত এবং সংলগ্ন এলাকায় ১৮৫ কিলোমিটার গভীরে হয়। কেন্দ্রস্থল হিন্দুকুশ কেঁপে ওঠে। ভূমিকম্পের পর, মানুষজনকে আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় এবং নিরাপদ জায়গায় দৌড়ে গিয়ে আশ্রয় নেন। যদিও রিপোর্ট অনুযায়ী, সোয়াতের কোথাও প্রাণহানি বা সম্পত্তি ক্ষয়ের কোনও খবর নেই। National Centre for Seismology-এর বিবৃতি অনুযায়ী, গত ১২ এপ্রিলও ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তান। সেই সময় রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৮। NCS-এর তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি ১০ কিলোমিটার গভীরে অনুভূত হয়েছিল। যার ফলে এটি পরবর্তী কম্পনের জন্য সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।
সপ্তাহখানেক আগেই তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুর্কির ইস্তানবুল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। এমনই জানায় সেদেশের ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। শহরে কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিল্ডিং ও অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন বহু মানুষ। বসফরাস প্রণালীর ইউরোপীয় এবং এশীয় তীরে অবস্থিত এই শহর। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এর কেন্দ্রস্থল ইস্তানবুত থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিমে মারমারা সাগরে। সোশাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, আতঙ্কে বহু মানুষ বিল্ডিং ও অফিস থেকে রাস্তায় নেমে এসেছেন। হঠাৎ, এত জোরে বিল্ডিং কেঁপে ওঠায় অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়েও রীতিমতো আতঙ্কিত ছিলেন। ইস্তানবুল শহর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে এর কেন্দ্রস্থল থাকায় তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। যা তুর্কির সবথেকে জনবহুল শহরের মানুষকে আতঙ্ক ধরানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।


















