Modi Shahbaz Meeting: সেপ্টেম্বরে কি মোদী-শরিফ বৈঠক? তুঙ্গে জল্পনা
Meeting In September: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা হতে পারে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উজবেকিস্তানের সমরকন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন বা এসসিও-র শীর্ষবৈঠক।
নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী (PM) নরেন্দ্র মোদীর (narendra modi) সঙ্গে দেখা হতে পারে (meeting) পাক প্রধানমন্ত্রী (Pak PM) শাহবাজ শরিফের (shahbaz sharif)। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে উজবেকিস্তানের (Uzbekistan) সমরকন্দে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (shanghai co-operation organization) বা এসসিও-র (SCO) শীর্ষবৈঠক। সেখানেই দুই প্রধানমন্ত্রীর দেখা হওয়ার কথা, বলছে সূত্র। ২০১৯-র ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হামলার পর দুদেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে কোনও কথাবার্তা হয়নি। ফলে সেপ্টেম্বরের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক মহল।
কী হতে পারে?
আগামী ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর এসসিও শীর্ষবৈঠক। তাতে একাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের যোগ দেওয়ার কথা। সেখানেই সম্ভবত দেখা হতে পারে মোদী-শরিফের। সূত্রের খবর, গত ২৮ জুলাই এসসিও-ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে বিষয়টি সুনিশ্চিত করা হয়েছে। তবে এখনও ভারত বা পাকিস্তান কোনও তরফ থেকেই এই বৈঠকের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। বরং গত মাসে পাক বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের এসসিও চলাকালীন ভারত-পাকিস্তনের রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে কোনও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক স্থির হয়নি। তাঁর কথায়, 'ভারত আমাদের পড়শি। একজন অনেক কিছু বেছে নিতে পারেন, কিন্তু পড়শি বাছতে পারেন না। তাই আমাদেরও ওঁদের সঙ্গে সহাবস্থানে অভ্যস্ত হতে হবে।' পাক বিদেশমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ২০১৯ সালের পর থেকে ভারতের সঙ্গে কথোপকথন কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার উপর ভারতীয় আমলাদের 'ইসলামবিরোধী মন্তব্য'। সব মিলিয়ে কথাবার্তার পরিসর কঠিন হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন তিনি।
বৈঠক নিয়ে...
এসসিও-র সদস্য় মোট আটটি দেশ। ভারত ছাড়াও চিন, রাশিয়া, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরঘিজস্তান এবং তাজিকিস্তান এই কর্পোরেশনের অংশ। শোনা যাচ্ছে, এবারের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ছাড়া চিন, রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গেও কথা বলতে পারেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও বৈঠকই আনুষ্ঠানিক ভাবে নিশ্চিত নয়।
শরিফ-মোদি চিঠি বিনিময়
ইমরান খান সরকারকে সরিয়ে শাহবাজ শরিফ ক্ষমতায় আসার পরই প্রধানমন্ত্রী মোদী চিঠি লিখেছিলেন তাঁকে। তাতে লেখা ছিল, ইসলামাবাদের সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্কে আগ্রহী দিল্লি। সেই চিঠির উত্তরও দেন শরিফ। জানান,ভারতের সঙ্গে শান্তি এবং সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কেই আগ্রহী পাকিস্তান। তবে একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর-সহ অসমাপ্ত সমস্যাগুলির সমাধানেরও আর্জি জানান তিনি।
সেপ্টেম্বরে বৈঠক হলে কি সেই সমস্যা সমাধানের পথে কিছুটা এগোবে দুই দেশ? জানতে উৎসুক বিশ্ব।
আরও পড়ুন:ব্যবসায়ীর রহস্যমৃত্যু, পানশালা থেকে উদ্ধার রক্তাক্ত দেহ