Partha Chatterjee on Bhawanipur By-election 2021 Result: বাংলার কাণ্ডারিকে ভারতকাণ্ডারি করেছে এই জয়, মন্তব্য পার্থর
এদিন গণনার শুরু থেকেই ভবানীপুরে এগিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা: ভবানীপুরে বিপুল জয় পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেকর্ড ভোটে তৃণমূল নেত্রীর জয়ে উচ্ছ্বসিত ঘাসফুল শিবিরের অন্দর। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন যে, ভবানীপুরের নাগরিক, অধিবাসীবৃন্দরা বাংলার কাণ্ডারিকে ঐতিহাসিকভাবে জয়যুক্ত করেছেন, ভারতকাণ্ডারি করার জন্য।
ঠিক কী বলেছেন তিনি?
"আমি তো প্রথম থেকেই বলছি যে রেকর্ড মার্জিনে জয়যুক্ত হবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভবানীপুরের নাগরিক, অধিবাসীবৃন্দরা বাংলার কাণ্ডারিকে ঐতিহাসিকভাবে জয়যুক্ত করেছেন, ভারতকাণ্ডারি করার জন্য। আমরা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞ। তাঁদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।"
এর আগে ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "বাংলা প্রমাণ করে দিয়েছে। এবার ভবানীপুরকেও প্রমাণ করতে হবে। বাংলা বাংলার মেয়েকেই চায়। আগামীদিন দিল্লিতে পরিবর্তনের শুরু করছেন। আপনি তৃণমূলকে ভোট দিচ্ছেন, আগামীদিনে দিল্লিতে পরিবর্তন আনতে। আর যাই করুক তৃণমূল মেরুদণ্ড বিক্রি করবে না। মমতার সঙ্গে সমর্থন থাকলে, আগামী দিনে বাংলায় সীমাবদ্ধ থাকবে না তৃণমূল।"
এদিকে, এদিন গণনার শুরু থেকেই ভবানীপুরে এগিয়ে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেত্রীর জয়ের পর মদন মিত্র বলেন, "মানুষ এখন জিজ্ঞেস করছেন জেট-চপার কোথায় গেল, নরেন্দ্র মোদি জবাব দাও। ইডি, সিবিআই কোথায় গেল, অমিত শাহ জবাব দাও। দিল্লির পথে যাচ্ছে কে, মমতা ব্যানার্জি আবার কে! বি ফর বেটিয়া, বি ফর ভবানীপুর, বি ফর বেঙ্গল, বি ফর ভারত।"
অন্যদিকে, তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম বলেন, "এই জয় ভবানীপুরের মানুষের জয়, বাংলার মানুষের জয়। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর অন্যায় হয়েছে, অসৎ উপায়ে কারচুপি করে পিছন দিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছুরি মারা হয়েছে তখন আমরা আওয়াজ দিয়েছিলাম নন্দীগ্রামের বদলা নিন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দিন। ভবানীপুরের ঘরের মেয়ের অপমান হয়েছিল সেদিন তাই মানুষ আজ তার বদলা নিল। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু মিরজাফরের কাজ করেছিল। এখানে ববি হাকিম মিরজাফর নয়। অনুগত্যের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন। তাঁর জন্য প্রাণও দিতে পারেন। এই জয়ই বলছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আর বাংলায় আটকে রাখা যাবে না।"