মুখ্যমন্ত্রীর রোম সফর বাতিল নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর
কেন রোম সফর বাতিল করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ
কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর রোম সফর বাতিল করায় এবার কেন্দ্রকে নিশানা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর। কেন রোম সফর বাতিল করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ। এদিন ট্যুইটে তিনি লেখেন, “রোমে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কেন বাধা দেওয়া হল? কোন আইনে মমতাকে আটকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক? সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারায় ভ্রমণের স্বাধীনতা মৌলিক অধিকার। যদিও কিছু বিধিনিষেধ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রচুর রায় দিয়েছে। কিন্তু সেখানে মুখ্যমন্ত্রী পদের উপযুক্ত নয়, এমন কারণ নেই।’’
শিকাগোর পর এবার রোম। ফের মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিল না কেন্দ্র। আর এ নিয়েই ভবানীপুরের প্রচার মঞ্চ থেকে শনিবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল ভবানীপুরের তৃণমূল প্রার্থী বলেন, “আমি বিজেপি কে টক্কর দিয়ে বলছি, ওখানে হিন্দু আমি একাই ছিলামঅথচ আমাকেই সেই শান্তি বৈঠকে যেতে দিল না। এখানে বলে দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না, তাহলে আমাকে কেন আটকানো হল? আমি তো গাঁধী, নেহেরু, নেতাজি, প্যাটেলের কথা বলতে পারতাম। আমার ধর্মীয় মানবিকতা, অথচ আমাকেই আটকানো হল।’’ আর এই ইস্যুতে এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ।
বেসরকারি সংস্থা Community of Sant Egidio’এর উদ্যোগে, ৬ ও ৭ অক্টোবর, ইতালির রোমে বিশ্ব শান্তি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল, পোপ ফ্রান্সিস, মিশরের ইমাম ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীর। সেই অনুষ্ঠানেই আমন্ত্রণ করা হয়েছিল বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে। সূত্রের খবর, শুক্রবার কেন্দ্রের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, যে কর্মসূচিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, বিদেশ মন্ত্রক মনে করে, এই অনুষ্ঠানে একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অংশগ্রহণ করা ঠিক নয়।
আরও পড়ুন: Bhawanipur By-poll : চেতলায় প্রচারে প্রিয়ঙ্কা, তৃণমূলের পতাকা দেখিয়ে ফেরালেন স্থানীয়রা
গতকাল নির্বাচনী জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হিংসার জন্য এসব করেছে। এভাবেই দেশ চলছে। কোভ্যাক্সিন যদি হু অনুমতি না দেয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রী কি করে গেলেন। বিশেষ অনুমতি নিয়ে। কত লোক যেতে পারছেন না। প্রধানমন্ত্রী গেলে আপত্তি নেই...দেশের জন্য যেতে হয়। কিন্তু আমাকে কেন যেতে দিলেন না। শান্তির কথা যেখানে, এশিয়ার মধ্যে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ ছিল, কেন যেতে দিলেন না? সব সময় এরকম করেন। কিন্তু, এভাবে আমাকে আটকানো যাবে না। যেতে দিলে, মানুষের মনে এটা আসত না। আমার বিদেশে যাওয়ার কোনও ইচ্ছে নেই, কিন্তু এখানে দেশের সম্মান জড়িয়ে রয়েছে।