(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Rajasthan Wine shop : বেস প্রাইস ছিল ১.৮৪ কোটি, ই-নিলামে মদের দোকানের দর উঠল ৯৯৯ কোটি !
সম্প্রতি আবগারি নীতিতে বদল আনা হয়েছে রাজস্থানে। আগে মদের দোকান বিলি হত পুরনো লটারি ব্যবস্থার মাধ্যমেই। তবে, নতুন নিয়মে ই-অকশন একমাত্র উপায়। রাজ্যে এই নতুন পদ্ধতি শুরু হয়েছিল সাত হাজারেরও বেশি দোকানকে অকশন তালিকায় রেখে।
জয়পুর : বেস প্রাইস ফেলে প্রায় হাজার কোটি ছুঁয়ে যাবে মদের দোকানের ই-অকশন প্রাইস কেই বা ভেবেছিলেন ! ভাবতে পারেননি আবগারি অফিসাররাও। গত সব রেকর্ড চুরমার করে রাজস্থানে মদের দোকানের নিলাম দর ছুঁল নশো নিরানব্বই কোটি টাকারও বেশি। ঘটনা রাজস্থানের দওসার। শাহপুর পাখর গ্রামের।
দওসার জেলা আবগারি কর্তা অনিল জৈন বলছেন, তাঁর জ্ঞানে রাজ্যে এটাই সবথেকে বেশি নিলাম-দর। গত ১০ এপ্রিল সকাল এগারোটা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত মদের দোকান নিলাম প্রক্রিয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। চলছিল সব ঠিকঠাক। হঠাৎই দুই অংশগ্রহণকারীর মধ্যে প্রতিযোগিতার পারদ এতই চড়তে শুরু করে, চড়চড় করে বাড়তে থাকে দর। একসময় প্রতিটা কল কার্যত প্রেস্টিজ ফাইটের রূপ নেয়। একসময় তো অনলাইন নিলামের রেজিস্ট্রেশন লিমিটই ছাড়িয়ে যায় প্রস্তাবিত দর।
দুই প্রতিযোগী বিডার করণ সিং গুর্জর এবং নবল কিশোর মীনা। অংশ নিয়েছিলেন নিলাম প্রক্রিয়ায়। মীনার বিড ছিল নশো নিরানব্বই কোটি নিরানব্বই লাখ নব্বই হাজার দুশো ষোলো টাকা। গুর্জরের পালটা বিড নশো নিরানব্বই কোটি নিরানব্বই লাখ পঁচানব্বই হাজার দুশো উনিশ টাকা।
তবে রেজিস্ট্রেশন লিমিটের অঙ্ক পেরিয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেয় কম্পিউটার। অনিল জৈন জানান, তা যদি না হত তাহলে হয়তো দরাদরি আরও
চলত। এদিকে, প্রক্রিয়ার পরে নিয়ম মেনে গুর্জরের কাছে চিঠি গিয়েছে আর্নেস্ট ডিপোজ়িট জমা করার কথা জানিয়ে। হিসেব মতো গুর্জরের বিড অ্যামাউন্ট বেশি। যদি তিনি আর্নেস্ট ডিপোজ়িট জমা করতে না পারেন সুযোগ পাবেন মীনা। আর যদি দু'জনেই ব্যর্থ হন ? তাহলে দুজনকেই কালো তালিকাভুক্ত হয়ে যেতে হবে। তিন বছরের জন্য। কপালে দুর্ভোগ আরও আছে। আবগারি দফতর আয়োজিত কোনও মদের দোকান বা বিয়ার বারের নিলামপ্রক্রিয়ায় কোনও দিন অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা। পাশাপাশি ই-অকশনে অংশ নেওয়ার জন্য যে প্রাথমিক ডিপোজিট তাঁরা করেছিলেন, সেই দুলক্ষ ষাট হাজার টাকাও বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে।