Possible Energy Crunch: এখনই জোগান দিতে হিমশিম, হয়রানি বাড়বে আবারও! গ্রীষ্মে এ বারও বিদ্যুৎ বিভ্রাটের আশঙ্কা
Heatwave Alert: চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই বিদ্যুতের চাহিদা সব হিসেব ছাপিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল।
নয়াদিল্লি: ফেব্রুয়ারি শেষ হওয়ার আগেই ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। চলতি বছরে আরও ভোগান্তি লেখা রয়েছে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে (Possible Energy Crunch)। প্রচণ্ড দাবদাহে, তীব্র তাপপ্রবাহে ঘরের বাইরে পা রাখা যেমন দুষ্কর হবে, তেমনই বিদ্যুতের জোগানেও ঘাটতি দেখা দেবে বলে দেখা দিয়েছে আশঙ্কা (Heatwave Alert)।
কারণ, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই বিদ্যুতের চাহিদা সব হিসেব ছাপিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। জানুয়ারি মাসে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২১১ গিগাওয়াট। করোনা পরবর্তী সময়ে কারখানা-শিল্পে গতি ফেরাতে গত বছর এই চাহিদা আরও বেশি ছিল। তাতে ১২২ বছরের রেকর্ড পর্যন্ত ভেঙে যায়।
তাই এ বছর গ্রীষ্মে বিদ্যুতের জোগাদ দিতে গিয়ে সংস্থাগুলিকে হিমশিম খেতে হতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে কারণে আমদানিকৃত কয়লা থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে যে সমস্ত সংস্থা, ইতিমধ্যেই বরাত দিয়ে ফেলেছে তারা, যাতে গ্রীষ্মের প্রথম তিন মাসে কোনও রকম বিপত্তি দেখা না দেয়, অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রেও কয়লার জোগানে ঘাটতি না দেখা দেয়।
আরও পড়ুন: Sonia Gandhi: 'ভারত জোড়োয় আমার যাত্রা শেষ', রাজনীতি থেকে বিদায়ের পথে! জল্পনা উস্কে দিলেন সনিয়া
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, এ বছর দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কমপক্ষে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি হতে পারে। তাই বিদ্যুৎ মন্ত্রকের অনুমান, এ বছর এপ্রিলে বিদ্যুতের চাহিদা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ২২৯ গিগাওয়াটে পৌঁছে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
মূলত সেচকার্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের জন্যই বিদ্যুৎ বেশি খরচ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর আগে গত দু’বছরই বিদ্যুতের জোগানে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। তাই আগামী বছরও অনুরূপ পরিস্থিতিই তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজস্থানের বিদ্যুৎ মন্ত্রী ভবর সিংহ ভাটির মতে, ফেব্রুয়ারি মাসেই যে হারে তাপমাত্রা বাড়ে, তা অস্বাভাবিক। স্বভাবতই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। গত বছরের তুলনায়, এ বছর বিদ্যুকতের চাহিদা ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তিনি। রাজস্থান এই মুহূর্তে সৌরশক্তি ব্যবহারে এগিয়ে। কিন্তু কয়লার জোগানে ঘাটতি দেখা দিলে, সেখানেও বিদ্যুতের জোগানে ঘাটতি দেখা দেয়।
ভারতে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, এর ৭০ শতাংশই কয়লা ব্যবহার করে। মার্চ শেষ হতে হতে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিকে ৪ কোটি ৫০ লক্ষ টন কয়লা মজুত রাখতে নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সিংহভাগই সেই লক্ষ্য পূরণ করে উঠতে পারেনি এখনও।