Senior Citizens Saving Scheme : তলানিতে সুদের হার, এই সরকারি প্রকল্প দেবে ৭.৪ শতাংশ রিটার্ন
অবসর পরবর্তী জীবনে কাজে লাগে ফিক্সড ডিপোজিট। কোনও কারণে সেই এফডি রেট কমতে থাকলে চিন্তা বাড়ে প্রবীণ নাগরিকদের। বয়স্ক ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে Senior Citizens Saving Scheme(SCSS)।
নয়াদিল্লি: কোভিডকালে মন্দা রুখতে কমেছে সুদের হার। দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে ভারত ছাড়াও বিশ্বের প্রায় সব দেশেই নেওয়া হয়েছে সুদ কমানোর উদ্যোগ। যার জেরে বিপদে পড়েছেন ব্যাঙ্কের আমানতকারীরা। যদিও অন্ধকারে আশার আলো দেখাচ্ছে এই প্রকল্প।
অবসর পরবর্তী জীবনে কাজে লাগে ফিক্সড ডিপোজিট। কোনও কারণে সেই এফডি রেট কমতে থাকলে চিন্তা বাড়ে প্রবীণ নাগরিকদের। বয়স্ক ব্যক্তিদের কথা মাথায় রেখে তৈরি হয়েছে Senior Citizens Saving Scheme(SCSS)। প্রবীণ বা বয়স্ক ব্যক্তিরা চাইলেই সরকারি এই প্রকল্পে বড় অঙ্কের টাকা জমা রাখতে পারেন। যার পরিবর্তে প্রতি বছর ৭.৪ শতাংশ সুদ পাবেন সিনিয়র সিটিজেনরা।
কারা এই প্রকল্পের যোগ্য ?
কোনও ব্যক্তির ৬০ বছর হলেই Senior Citizens Saving Scheme(SCSS)-এ টাকা রাখতে পারবেন। তবে (৫৫-৬০) বয়সের ব্যক্তিও এই প্রকল্পে টাকা রাখার যোগ্য। এই ক্ষেত্রে ভলেন্টারি রিটায়ারমেন্ট নিলে তবেই (SCSS)স্কিমে বিনিয়োগ করতে পারবেন তাঁরা। এ ছাড়াও সরকারের এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন ৫০ ঊর্ধ্বের অবসরপ্রাপ্ত সেনা জওয়ানরা।
কত রাখতে হবে ন্যূনতম ব্যালেন্স ?
এই প্রকল্পের অধীনে অ্যাকাউন্ট খুলতে গ্রাহককে কমপক্ষে ১০০০টাকা জমা রাখতে হবে। সিনিয়র সিটিজেন সেভিংস স্কিমে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা রাখতে পারবেন আমানতকারীরা। এই স্কিমে খাতা খুললে স্ত্রীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট করার সুযোগ দেবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
এই প্রকল্পে সুদের হার
অন্যান্য সেভিংস স্কিমের তুলনায় অনেক বেশি রিটার্ন দেয় এই প্রকল্প। বছরে এই প্রকল্পে ৭.৪ শতাংশ সুদ পাওয়া যায়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক প্রতি কোয়ার্টারে সুদের হার নির্ণয় করে। সেই অনুযায়ী এপ্রিল, জুলাই, অক্টোবর ও জানুয়ারি মাসের প্রথন বিজনেস ডে-তে সুদ পান আমানতকারীরা।
প্রকল্পের ম্যাচুরিটি
Senior Citizens Saving Scheme(SCSS)-এ আমানতকারীকে ৫ বছর টাকা রাখতে হবে। পাঁচ বছরের ম্যাচুরিটির মেয়াদ পূর্ণ হলে ফের তিন বছরের জন্য স্কিমের মেয়াদ বাড়াতে পারেন গ্রাহক।
মেয়াদ পূরণের আগেই বন্ধ
কোনও কারণে আমানতকারী এক বছর পূর্ণ তথা ২ বছর শেষ হওয়ার আগেই এই অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে চাইলে জরিমানা দিতে হবে। সেই ক্ষেত্রে জমা অর্থের ১.৫ শতাংশ কেটে নেবে কর্তৃপক্ষ। একইভাবে ২ বছর অ্যাকাউন্ট চালানোর পর তা বন্ধ করে দিলে ১ শতাংশ জরিমানা ধার্য করা হবে গ্রাহকের।