Shortest Flight in the World: মাত্র ১.৫ মিনিটে পৌঁছনো যায় গন্তব্যে, বিশ্বের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত উড়ান এই পথে...
Scotland Shortest Flight: স্কটল্যান্ডের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত অর্কনি আইল্যান্ড অফ ওয়েস্ট্রে থেকে পাপা ওয়েস্ট্রে পর্যন্ত সবচেয়ে স্বল্প দূরত্বের বিমান চলাচল করে।
নয়াদিল্লি: কম সময়ে দীর্ঘ যাত্রাপথ অতিক্রম করার ক্ষেত্রে বিমানের কোনও বিকল্প নেই। বহু দূরে যাত্রার জন্যই নয় শুধু, জরুরি পরিস্থিতিতে কোথাও দ্রুত পৌঁছনোর ক্ষেত্রেও বিমান বা হেলিকপ্টার ব্যবহৃত হয়। কিন্তু মাত্র ১.৫ মিনিটের বিমানযাত্রার কথা শুনেছেন কি? আলেকালে নয়, নিয়মিত ওই সামান্য দূরত্বে বিমান চলাচল করে। কখনও কখনও গন্তব্যে পৌঁছতে ১ মিনিটেরও কম সময় লাগে। কাপ নুডলস সেদ্ধ হতেও এর ঢের বেশি সময় লাগা তার থেকে। (Shortest Flight in the World)
স্কটল্যান্ডের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত অর্কনি আইল্যান্ড অফ ওয়েস্ট্রে থেকে পাপা ওয়েস্ট্রে পর্যন্ত সবচেয়ে স্বল্প দূরত্বের বিমান চলাচল করে। Loganair বিমান সংস্থা সবচেয়ে স্বল্প দূরত্বের এই বিমান পরিষেবা প্রদান করে। যাত্রাপথ এতটাই কম যে, বিমানযাত্রায় সবসময় ১ মিনিটও লাগে না। সবচেয়ে কম সময়ে, মাত্র ৫৩ সেকেন্ডে গন্তব্যে বিমান পৌঁছনোর নজিরও রয়েছে, যা পাইলট স্টুয়ার্ড লিঙ্কলেটারের হাতে ঘটে। (Scotland Shortest Flight)
এক্ষেত্রে মাত্র ১.৮ মাইল (২.৭৩) কিলোমিটার অতিক্রম করেন যাত্রীরা। দুই দ্বীপের মাঝে একটি জলভাগ রয়েছে, যা এডিনবরা বিমানবন্দরের রানওয়ের সমান। বিভিন্ন বিমানবন্দরে রানওয়ে থেকে বিমানের আকাশে উড়তে যে সময় লাগে, তার চেয়েও কম সময়ে অর্কনি আইল্যান্ড অফ ওয়েস্ট্রে থেকে পাপা ওয়েস্ট্রের মধ্যে বিমানযাত্রা সম্ভব।
ওই যাত্রাপথে ব্রিটেন-নরম্যান BN2B-26 আইল্যান্ডার বিমান ব্যবহার করে Loganair বিমান সংস্থা। ওই বিমানে ১০টি আসন থাকে। এমনকি সামনের সারির আসনে যাঁরা বসেন, তাঁরা পাইলটের কাজকর্ম একেবারে সামনে থেকে দেখতে পান। পাপা ওয়েস্ট্রে দ্বীপের মোট জনসংখ্যা ৭০। রোজকার প্রয়োজনীয় জিনীসপত্রের জন্য মূল ভূখণ্ডে পৌঁছতে হয় তাঁদের। বর্তমানে স্বল্প দূরত্বের ওই যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়েছে সেখানে।
সংক্ষিপ্ত যাত্রাপথের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় ছাড়াও, দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ করতেও ছোটেন অনেকে। ব্যস্ততায় ভরা জীবন ছেড়ে সেখানে হারিয়ে যেতে চান তাঁরা। শহরের হাঁকডাক, গাড়ির আওয়াজ নেই সেখানে। তাড়াহুড়ো নেই রোজনামচায়। শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্যও সেখানে ছুটে যান পড়ুয়া, অধ্যাপকরা। কারণ পাপা ওয়েস্ট্রেতে ৬০টি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান রয়েছে। যাত্রাপথ সংক্ষিপ্ত হলেও, সেই অভিজ্ঞতা সারাজীবন মনে থেকে যায় বলে মত পর্যটকদের। ১৯৬৭ সালে ওই দুই দ্বীপের মধ্যে বিমান পরিষেবার সূচনা ঘটে। সময়ের সঙ্গে সেটি জনপ্রিয় হয়।