Asim Munir: আমেরিকার সেনা দিবস উদযাপনে আমন্ত্রিত পাকিস্তানি সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির? ভারতকে বিশেষ বার্তা?
Asim Munir USA Invitation: গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ১৪ জুন আমেরিকার সেনা দিবসের উৎসবে যোগ দিতে সে দেশে যাবেন জেনারেল মুনির, সূত্রের মত।

নয়া দিল্লি: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আহমেদ শাহ ১৪ জুন মার্কিন সেনা দিবস উদযাপনের জন্য ওয়াশিংটন ডিসি সফর করবেন, এমনই খবর গোয়েন্দা সূত্রে। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম বার্ষিকী উদযাপনে অন্যান্য সামরিক নেতাদের সঙ্গে যোগ দেবেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে পাকিস্তানি দূতাবাসের সূত্র অনুসারে, মুনির ১২ জুন পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পহেলগাঁও হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরে ভারত যখন গোটা বিশ্বে সন্ত্রাসে পাক মদতের কথা তুলে ধরছে তখন এই ঘটনা দিল্লির পক্ষে অস্বস্তিকর হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন কূটনীতিকেরা।
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ১৪ জুন আমেরিকার সেনা দিবসের উৎসবে যোগ দিতে সে দেশে যাবেন জেনারেল মুনির। সূত্রের মতে, এই সফরের সময়ে আমেরিকার তরফে আফগানিস্তান ও ভারত-বিরোধী জঙ্গি গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানকে চাপ দেওয়া হতে পারে।
এরই মধ্যে আমেরিকান আইনসভা সেনেটের শুনানিতে শীর্ষ আমেরিকান সেনা কর্তা জেনারেল মাইকেল ই কুরিল্লা জানিয়েছেন ভারত ও পাকিস্তান, উভয় দেশই আমেরিকার প্রয়োজন। কারণ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তান ‘বড় মাপের অংশীদার’। মুনিরকে আমন্ত্রণের পাশাপাশি আমেরিকান সেনেটের শুনানিতে সেনা কর্তা জেনারেল মাইকেল ই কুরিল্লার বক্তব্যেও ইসলামাবাদকে বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই শুনানিতে আইএস-খোরাসান জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাক সেনা ও আসিম মুনিরের ভূমিকাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন কুরিল্লা। তাঁর কথায়, ‘‘এ জন্য আমাদের পাকিস্তানকেও প্রয়োজন। আমি মনে করি না ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না।’’
কুরিল্লা জানান, আফগান তালিবানের অভিযানের ফলে এখন আইএস-খোরাসান গোষ্ঠীর জঙ্গিরা পাক-আফগান সীমান্তে আশ্রয় নিচ্ছে। ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় সন্ত্রাস-দমনে পাকিস্তানের গুরুত্ব বাড়বে।
সূত্রের মতে, চিন-পাকিস্তান আর্থিক করিডর-সহ নানা প্রকল্পের ফলে বেজিং ও ইসলামাবাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ক্রমশ বাড়ছে। যার ফলে পাকিস্তানের নিরপেক্ষতা নিয়ে আমেরিকার মনে সংশয় তৈরি হয়েছে।






















