প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নামে নামে কয়েক কোটি টাকা ‘প্রতারণা’, অভিযুক্ত জেলা সভাপতি সহ ২ বিজেপি নেতা, তদন্তে সিআইডি
উত্তর ২৪ পরগনা: মোদী সরকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে, ২০২২ সালের মধ্যে সবার জন্য ঘর। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের গরিব মানুষগুলোও স্বপ্ন দেখেছিল। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নতুন ঘরের স্বপ্ন। কিন্তু কোথায় কী! উল্টে পকেট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে টাকা। সামনে এসেছে এক বড়সড় প্রতারণার অভিযোগ। যাতে নাম জড়িয়েছে দুই বিজেপি নেতার। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর দেওয়ার নাম করে, বসিরহাট-টাকি এলাকার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার গরিব মানুষকে প্রতারিত করা হয়েছে। একেক জনের থেকে বেআইনি ভাবে ৫০০ থেকে হাজার টাকা করে তোলা হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ২ থেকে তিন কোটি টাকার প্রতারণা বলে সিআইডি সূত্রে দাবি। এই ঘটনায় আঙুল উঠেছে বিজেপি দুই নেতার দিকে। উত্তর ২৪ পরগনার বিজেপির জেলা সভাপতি বিকাশ সিংহ এবং বিজেপিরই স্থানীয় এক নেতা রঞ্জিত পাল। সম্প্রতি, গৌরাঙ্গ সরকার নামে বসিরহাটের এক বাসিন্দা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান। তার ভিত্তিতে করা এফআইআরে বিকাশ সিংহ এবং রঞ্জিত পাল, দুই বিজেপি নেতারই নাম রয়েছে। বুধবার, এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিআইডি। সিইডির স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ তদন্তে নেমেছে। সিআইডি সূত্রে দাবি, ২০১৬’র শেষ থেকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে বেআইনি ভাবে টাকা তোলা শুরু হয়। রাজ্যের শাসক দল, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বার বার দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করছে বিজেপি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এবার বিজেপির গলাতেও দুর্নীতির কাঁটা। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে বসিরহাটের স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের একাংশ দলের জেলা সভাপতি ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিজেপির দুই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা, দলের কাছে যেমন অস্বস্তির, তেমনই এতে বিজেপির প্রতিপক্ষ দলগুলিও হাতে নয়া অস্ত্র পেয়ে গেল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই দুর্নীতির অভিযোগের জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সে দিকেই এখন নজর।