একই পরিবারের তিনজনকে খুন, ফাঁসির সাজা ৩ জনকে
উত্তর ২৪ পরগনা: চার বছর আট মাস পর হল বিচার। বারাসতে একই পরিবারের তিনজনকে গুলি করে, কুপিয়ে খুনের ঘটনায় তিনজনকে ফাঁসির সাজা দিল বারাসত আদালত। ২০১২ সালের ১০ এপ্রিলে বারাসতের কেমিয়া খামারপাড়ায় ন’পাড়ায় খুন হন তৃণমূল সমর্থক বিনয় বিশ্বাস, তাঁর মা তাপসী বিশ্বাস ও বাবা অমৃত বিশ্বাস। সোমবার এই ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত তিনজনকে ফাঁসির সাজা শোনাল বারাসত আদালত। এই তিনজন হল- প্রভাস ঢালি, সুজিত ঢালি এবং সমীর মণ্ডল। এদিন দুপুর সাড়ে তিনটেয় বারাসত আদালতের সপ্তম অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারকের এজলাসে সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিচারক একে একে তিন দোষীকে এজলাসে ডেকে পাঠান। কোন কোন ধারায় তাদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তা পড়ে শোনান। তিনজনকে ৩০২ ধারায় খুন, ৪৪৯ ধারায় অপরাধ সংগঠনের উদ্দেশে অনুপ্রবেশ, ১২০ বি ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এছাড়া প্রভাস ঢালিকে অস্ত্র আইনেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আদালত সূত্রে খবর, চরম সাজা হতে চলেছে বুঝেও দোষীদের মুখ ছিল ভাবলেশহীন। তবে তাদের ফাঁসির সাজা শুনে এদিন আদালত কক্ষেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত তৃণমূল সমর্থক বিনয় বিশ্বাসের স্ত্রী শিউলি ও তাঁর দুই ছেলে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত মণীন্দ্র অধিকারী আগেই হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়। অভিযোগ, তারপর থেকেই কুখ্যাত দুষ্কৃতী প্রভাস ঢালির শাগরেদরা তাকে লাগাতার হুমকি দিত। তার জেরে এবছর ২৪ মে মণীন্দ্র আত্মহত্যা করেন। এই খুনে আরেক অভিযুক্ত গৌতম ঢালিও হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়। তারপর থেকে সে পলাতক।