Alipurduar: বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের অভিযোগে আলিপুরদুয়ারে ধৃত ২
বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের অভিযোগে দুই অভিযুক্তকে জেলা আদালতে পেশ করা হয়। দু'জনকেই পাঁচ দিনের জেল হেফাজতে নিয়েছে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ।
অরিন্দম সেন, আলিপুরদুয়ার: বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের অভিযোগে দুই অভিযুক্তকে আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতে পেশ করা হয়। দু'জনকেই পাঁচ দিনের জেল হেফাজতে নিয়েছে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। গণ্ডারের খর্গ পাচারের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। যদিও ওই দেহাংশ গণ্ডারের খর্গই কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিশ্চিত করতে সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বন দফতরের।
শুক্রবার গভীর রাতে আলিপুরদুয়ার ১নং ব্লক মথুরা মোড় এলাকায় নাকা চেকিং চালাচ্ছিল আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। সেই সময় একটি সন্দেহভাজন মোটরবাইককে আটক করে পুলিশের অ্যান্টিক্রাইম দল। বাইকটি চিলাপাতা থেকে কোচবিহারের দিকে যাচ্ছিল। এরপর পুলিশ তল্লাশি চালায়। দুই বাইক আরোহীর একজনের হাতে থাকা একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয় গণ্ডারের খর্গ জাতীয় দেহাংশ। স্বাভাবিকভাবেই এরপর মোটরবাইক সমেত ওই দুই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় কোচবিহার পুণ্ডবাড়ি থানার অন্তর্গত গোপালপুর এলাকার বাসিন্দা অরিন্দম দাস ও থানেশ্বর এলাকার বাসিন্দা অভিজিৎ সূত্রধর নামে ওই দুই অভিযুক্তকে।
ধৃত দুই অভিযুক্তকে বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচারের অভিযোগে আলিপুরদুয়ার জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। এর পিছনে আরও বড় কোনও চক্র আছে কি না তার খোঁজে তল্লাশি করবে পুলিশ। চক্রের অন্যান্য পাণ্ডাদের হদিশ পেতে অভিযুক্তদের হেফাজতে নিয়েই চলবে তল্লাশি। উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণীর দেহাংশটি আদৌ গণ্ডারের খর্গ কি না সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে সেটি পরীক্ষা করা হবে। এই বিষয়ে বন দফতরের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। এমনটাই খবর পাওয়া গেছে পুলিশ সূত্রে।
বন্যপ্রাণীর দেহাংশ লোপাট বিশেষত লুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণীর দেহাংশ পাচার রুখতে দিকে দিকে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে প্রশাসন। তার মধ্যেও এমন ঘটনায় স্বভাবতই নড়েচড়ে বসেছে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার পিছনের আসল চক্রীকে খোঁজার চেষ্টা চলছে। কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই দেহাংশ, তা আদৌ গণ্ডারের খর্গ কি না, সব খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।