West Bengal Politics: তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত বাঁকুড়ার মেজিয়া, আহত দু’পক্ষের বেশ কয়েকজন, জাতীয় সড়ক অবরোধ
Again inner clash of TMC at Bankura. | যুব তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এলাকায় তাদের সংগঠন শক্তিশালী হওয়ায় সিন্ডিকেট রাজ ধ্বংস হওয়ার ভয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ বাধা দিচ্ছে।
প্রসূন চক্রবর্তী, মেজিয়া: তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষে উত্তপ্ত বাঁকুড়ার মেজিয়ার বাগানগোড়া এলাকা। রাতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে যুব তৃণমূলের বিক্ষোভ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঘটনার সূত্রপাত গতকাল রাত ৯টা নাগাদ। অভিযোগ, স্থানীয় রেশন ডিলারের দুই ছেলে যুব তৃণমূলের সদস্য হওয়ায় দুই তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হন তৃণমূল কর্মীরা। স্থানীয় যুব তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিলে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। আহত হন কয়েকজন। এরপরই দুই তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি চেয়ে রাত ১১টা নাগাদ মেজিয়ায় ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। পুলিশের আশ্বাসে একঘণ্টা পর অবরোধ ওঠে।
যুব তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, এলাকায় তাদের সংগঠন শক্তিশালী হওয়ায় সিন্ডিকেট রাজ ধ্বংস হওয়ার ভয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ বাধা দিচ্ছে। দলের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর পাওয়া যাচ্ছে। সম্প্রতি ১০০ দিনের কাজ নিয়ে মালদার পুখুরিয়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় আহত হন ৭ জন। ১০০ দিনের কাজে শ্রীপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন দলীয় সদস্যদের একাংশ। এ নিয়ে তদন্তে যান প্রশাসনিক কর্তারা। অভিযোগ, তাঁদের সামনেই প্রধানের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সদস্যদের বিবাদ বাঁধে। তা থেকে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় অস্বস্তিতে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এই ধরনের ঘটনায় দল পাশে দাঁড়াবে না বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, বসিরহাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে। শনিবারের পর রবিবার ফের পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিশাল মিছিল করা হয় বসিরহাট শহরে। তবে প্রতিবাদ মিছিলের মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এদিন পেট্রল ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি অবস্থান বিক্ষোভ আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে হঠাৎই ঝামেলা বেঁধে যায়। অভিযোগ যুব তৃণমূল সভাপতি সুরজিত মিত্রের ছেলের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বিধায়ককে ধাক্কা মারারও অভিযোগ উঠেছে।