Dilip Attacks Mamata: "কে ষাঁড়, কে মোষ কে জানে?", কল্যাণের কু-কথা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিলীপের
"রাজ্য রাজনীতিতে ঐতিহাসিক মাস হিসেবে লেখা থাকবে ডিসেম্বর...", ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য বিজেপি রাজ্য সভাপতির
কলকাতা: ডিসেম্বর মাসটা রাজ্য রাজনীতিতে ঐতিহাসিক মাস হিসেবে লেখা থাকবে। পদত্যাগ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ।
গতকালই দলত্যাগী নেতাদের বিশ্বাসঘাতক বলে কটাক্ষ করেছিলেন মমতা তৃণমূলনেত্রী। এপ্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতির পাল্টা প্রশ্ন, কংগ্রেস থেকে যখন ওনারা তৃণমূলে এসেছিলেন, বিশ্বাসঘাতকতা হয়নি?
তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কু-কথা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় দিলীপ ঘোষ বলেন, যে ধরনের রাজনীতি শুরু করেছেন, তার জবাব মিলবে। কে ষাঁড়, কে মোষ কে জানে?
অমিত শাহর সভা প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য দিলীপ ঘোষের। দাবি করলেন, কয়েকজন বড় নেতা যোগ দেবেন বিজেপিতে।
গতকাল, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দিলীপ বলেন, কলকাতার অবস্থা ইরাক, ইরানের মতো হয়ে গেছে।
কখনও পশ্চিমবঙ্গকে কাশ্মীরের সঙ্গে, কখনও মুখ্যমন্ত্রীকে হিটলার-মুসোলিনীর সঙ্গে তুলনা করেছে বিজেপি। এবার রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে ইরাক-ইরানের তুলনা টানলেন দিলীপ ঘোষ।
বুধবার সকালে বউবাজারে চায়ে পে চর্চায় যোগ দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেই সভা থেকে পুরভোট নিয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেন তিনি।
বলেন, শুধু কলকাতায় কেন, দম থাকলে সবজায়গায় পুরভোট করুন। এক বছরের বেশি নির্বাচন বকেয়া। কাশ্মীর, হায়দরাবাদে নির্বাচন হতে পারে, এখানে কেন হবে না? নেহাত লোকসভা আর বিধানসভা ভারতের নির্বাচনী কমিশনের অধীনে। দিদিমণির হাতে থাকলে বিধানসভা নির্বাচন আটকে দিতেন।
সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প থেকে মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গ। একাধিক ইস্যুতে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। কলকাতা পুরসভার কাজে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছেন তিনি। দিদিমণি ঢপের চপ দিয়েছে স্বাস্থ্য সাথী কার্ড। কার্ড নিয়ে হাসপাতালে গেলে বলবে, এখান থেকে বেরিয়ে যা। আর চাষি যে আলু ৫ টাকায় বিক্রি করে, তা কিনতে হচ্ছে ৪৫ টাকায়। সমস্ত কাটমানি কালীঘাটে যাচ্ছে। আমফানের পর কোনও কাজ করেনি। একটাা গাছ সরাতে পারে না।
সম্প্রতি উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বাতিল করে দেওয়া হয় কমিশনের প্রকাশ করা প্রভিশনাল মেরিট লিস্ট। সেই প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে নিশানা বিজেপির রাজ্য সভাপতির।
পুরনো প্যানেল বাতিল হয়েছে। লাখ লাখ টাকা তুলেছিল। যারা টাকা দিয়েছেন ঘুষ দিয়েছেন তাদের বলছি, নেতাদের কলার ধরুন, চাকরি কেন হল না?
পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও আক্রমণ করেছেন দিলীপ ঘোষ। বলেন, পুলিশ ভাবছে প্রমোশন হবে। তাই এরকম কাজ করছে। প্রমোশন না ডিমোশন নিজেরাই দেখতে পাবে।
তৃণমূনেত্রীকেও সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। বলেন, দেখেছেন চাপের ঠেলায় কেমন রোগা হয়ে গেছে।
আর কদিন পরই নতুন বছর। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তার আগে, বাকযুদ্ধ চরমে শাসক-বিরোধীর।