বিবাহিত, সন্তানও রয়েছে! ভুয়ো পরিচয়ে রূপশ্রীর টাকা তোলার অভিযোগ ৮ মহিলার বিরুদ্ধে
এদের মধ্যে আট জনই বিবাহিত এবং এদের প্রত্যেকের সন্তান আছে।
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: মিথ্যে পরিচয় দিয়ে রূপশ্রীর ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উছল ৮ মহিলার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নলহাটিতে। নলহাটি ব্লক অফিসার আজ ওই ৮ জন মহিলার নামে অভিযোগ দায়ের করেছে নলহাটি থানায়।
জানা গিয়েছে, এদের মধ্যে ৮ জনই বিবাহিত এবং এদের প্রত্যেকের সন্তান আছে। তবু নিজেদের অবিবাহিত বলে দাবি করে সরকারি প্রকল্পে টাকা তুলে নেন এই এই মহিলারা। এই প্রতারণার খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী অভিযোগ করেন থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দিন কয়েক আগেই উত্তর দিনাজপুরে ধরা পড়েছিল সংখ্যালঘু স্কলারশিপের টাকা তুলে নেওয়ার এক চক্রের। এবার রূপশ্রীর টাকা নিয়ে প্রতারণা। জানা গিয়েছে, অভিযুক্তদের কেউ এদের কেউ সন্তানের মা। কেউ আবার বিয়ে করেছে ৪ বছর আগে। কিন্তু ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে তুলে নেওয়া হচ্ছিল রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা।
জালিয়াতির খবর পয়েই তদন্তে নামেন নলহাটির বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী। হাতনাতে ধরা পড়ে ওই ৮ জন। সূত্রের খবর, অভিযুক্তরা নলহাটির থানার নওয়াপাড়া আর তিলোরার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে খবর আট অভিযুক্তদের মধ্যে ৬ জন নওয়াপাড়ার বাসিন্দা এবং বাকি ২ জন তিলোরার।
এর আগেও সরকারি প্রকল্পের টাকা নিয়ে জালিয়াতির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। ভুয়ো নথি দেখিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা করে তোলার অভিযোগ উঠেছিল পঞ্চানন্দপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সুলতানটোলার বাসিন্দা চেনো খাতুন ও সোনা বিবির বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত নামে ব্লক প্রশাসন।
গত ২ জুলাই পুলিশকে নিয়ে তদন্তকারী দল অভিযুক্ত দুই মহিলার বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বক্তব্যে অসঙ্গতি পেয়ে তাঁদের সোমবার শুনানির জন্য বিডিও অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু এদিন তাঁরা আসেননি। ফের শুনানির জন্য আরও একবার সময় দেওয়া হয়। কিন্তু একদিন আগেই এ দিন দুপুরে ওই দুই মহিলা এসে মুচলেকা লিখে তদন্তকারীদের কাছে ২৫ হাজার টাকা করে ফেরত দেন।