Birbhum: লাভপুরে কান্না শুনে ঝোপ থেকে উদ্ধার সদ্যোজাত শিশুকন্যা
সাতসকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর পরই, বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা সুকুর মণি থমকে যান কান্নার আওয়াজে।
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের লাভপুরে সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে উদ্ধার করল লাভপুর থানার পুলিশ। আজ সকালে লাভপুরের লাঘাটা ব্রিজের সামনে একটি ঝোপের মধ্যে শিশু কন্যার কান্নার আওয়াজ শুনতে পান স্থানীয় এক মহিলা। এরপর খবর যায় লাভপুর থানায়। লাভপুর থানার পুলিশ গিয়ে সদ্যোজাত শিশুকন্যাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে লাভপুর হাসপাতালে। সেখান থেকে সিয়ান হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে শিশুকন্যাটিকে চিকিৎসার জন্য। কে বা কারা শিশুকন্যাটিকে ফেলে গেল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করে লাভপুর থানার পুলিশ। শেষপর্যন্ত শিশুটির বাবা-মায়ের খোঁজ মেলে। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
ঘুম ভেঙেছিল একরত্তির কান্নায়। সাতসকালে বাড়ি থেকে বেরোনোর পরই, বীরভূমের লাভপুরের বাসিন্দা সুকুর মণি থমকে যান কান্নার আওয়াজে। তাঁর দাবি, কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর বুঝতে পারেন কুয়ে নদীর সেতুর পাশে ঝোপের মধ্যে থেকে ভেসে আসছে আওয়াজ। কাছে যেতেই, তিনি দেখেন কাপড় জড়ানো অবস্থায় পড়ে আছে এক সদ্যোজাত শিশুকন্যা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সুকুর মণি মাড্ডি বলেছেন, সকালে ওই এলাকা থেকে যাওয়ার সময় দেখি পড়ে আছে ঝোপের মধ্যে কাপড় জড়িয়ে পড়ে আছে একটি শিশু।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিশু উদ্ধারের পরই মা-বাবার খোঁজ মেলে। দম্পতির একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। এই সদ্যোজাত তৃতীয় সন্তান। সদ্যোজাতর মায়ের দাবি, বাচ্চাটি জন্মানোর পর নড়াচড়া না করায় ভেবেছিলাম মারা গেছে। তাই ফেলে গেছিলাম। সদ্যোজাতর মা-বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁদের দাবি।
উল্লেখ্য, রাজস্থানে শিশু পাচারের চেষ্টার অভিযোগে বাঁকুড়ায় কেন্দ্রীয় স্কুলের প্রিন্সিপাল ও শিক্ষিকা-সহ ৮ জনকে কয়েকদিন আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৫টি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশ সূত্রে।যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকের কালপাথর এলাকায়। প্রিন্সিপাল-সহ তিন জনকে পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত, এবং শিক্ষিকা-সহ বাকি ৫ জনকে ১৪ দিনের জেল হাজতের নির্দেশ দিয়েছে বাঁকুড়া জেলা আদালত।