নানুরে বাড়ির সামনেই বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ, গাড়ি ভাঙচুর
তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। মানতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল।
গোপাল চট্টোপাধ্যায়, বীরভূম: বীরভূমের নানুরের কড়েয়া গ্রামে বাড়ির সামনেই বিজেপি নেতাকে মারধরের অভিযোগ। গাড়ি ও বাইক ভাঙচুর। আহত আরও ৩ বিজেপি কর্মী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। মানতে নারাজ রাজ্যের শাসক দল।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব বিজেপি। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন । রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ জানানোর কথা ঘোষণা করেছেন সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এই আবহে বিধানসভা নির্বাচনে বীরভূমের নানুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তারক সাহার ওপর হামলার অভিযোগ উঠল।
তাঁর অভিযোগ, বুধবার রাতে নানুরের কড়েয়া গ্রামে বাড়ির সামনেই তাঁর উপর হামলা চালায় তৃণমূল কর্মীরা। মারধরের পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় তাঁর গাড়ি ও বাইক। বাঁচাতে গেলে তারকের সঙ্গে থাকা ৩ জন বিজেপি কর্মীকেও মারধর করা হয়। এই ঘটনায় এখনও অবধি কেউ গ্রেফতার হয়নি।
বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, শুধু নানুর নয় রাজ্যের একাধিক জায়গায় তাদের কর্মী-সমর্থকরা ঘরছাড়া। অনেক জায়গাতেই তাদের পড়তে হয়েছে রাজনৈতিক হিংসার কবলে। যা নিয়ে ক্রমাগত সুর চড়িয়েছে রাজ্য বিজেপিও। রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে একাধিকবার সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপালও।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় কোচবিহার সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় গিয়েছেন, যেখানে যেখানে ভোট পরবর্তী হিংসার খবর পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে রাজ্যের কাছে তলব করা হয়েছিল রিপোর্টও। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রাজ্য প্রশাসনের তরফে দ্রুত পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করাও হয়েছে বলেই দাবি প্রশাসনের তরফে।
পাশাপাশি রাজ্যের অনেক প্রান্তে দেখা গিয়েছে একেবারে ভিন্ন চিত্রও। রাজনৈতিক সৌজন্যের নজির গড়ে বিজেপির ঘরছাড়া বহু কর্মী-সমর্থককে তৃণমূলের নেতা, কর্মীরা দায়িত্ব নিয়ে ঘরে ফিরিয়েছেন। বীরভূমের নানুরেই বিভিন্ন প্রান্তেও দেখা মিলেছে যে ধরণের ছবির।
এদিকে, ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক উত্তাপ্তের রেশও কিন্তু এখনও ফিকে হয়নি বেশ কিছু জায়গায়। সেই রকমেরই এক উদাহরণ দেখা গেল নানুরের কড়েয়া গ্রামে।